হাইকোর্ট ভবন
হাইকোর্ট ভবন

মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটনে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ তদন্ত করতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট

ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রতিহত করার নামে গণহত্যা, হেলিকপ্টার থেকে গুলি, গুলিতে শিশু ও মানুষের মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটনে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ তদন্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রুল দেন। রিটে উল্লেখিত শিশু ও নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে বিগত সরকারের ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের সময় বাড়িতে, বাড়ির আঙিনায় ও পরিবারের সঙ্গে থাকা অবস্থায় গুলিতে শিশুদের মৃত্যুর কারণ ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন ও কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ৩১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। শুনানির আগে রিটের প্রার্থনা সংশোধন করেন তিনি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব।

শুনানিতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার রুল দেওয়ার পাশাপাশি নিহত শিশুদের প্রত্যেকের পরিবারকে অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনার আরজি জানান। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের বিষয়। বিষয়টি সরকার কীভাবে দেখছে, তা জানতে হবে। এ জন্য সময় প্রয়োজন। বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। শুনানি নিয়ে আদালত বলেন, শুধু রুল দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন রাখা হলো।

‘জানালায় দাঁড়াতেই গুলি এসে কেড়ে নিল শিশুটিকে’, ‘বাসার ছাদে বাবার কোলে ঢলে পড়ে ছোট্ট মেয়েটি’ এবং ‘বারান্দায় দাঁড়ানো আহাদের ডান চোখে লাগে গুলি’ শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রকাশিত এবং ‘ফুল হয়ে ফোটার আগে ঝরল ওরা’ শিরোনামে অপর একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে রিটে।