অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আলাদা আলাদা মিছিল করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট–লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও গণ অধিকার পরিষদ (একাংশ)। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা এসব মিছিল করে।
রাজধানীর প্রেসক্লাব, পুরানা পল্টন ও বিজয়নগর এলাকায় মিছিল করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। মিছিল শেষে পুরানা পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের আইন হাতে তুলে নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করেছেন। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কেবল শপথ ভঙ্গ নয়, আইন লঙ্ঘন করেছেন।
এই সরকার উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম করে যা ইচ্ছা তা–ই করছে বলে অভিযোগ করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি আরও বলেন, নিজেদের এজেন্ট দিয়ে নানা ধরনের পরিকল্পিত সন্ত্রাস করিয়ে বিরোধী দলের ওপর সেটা চাপিয়ে দিয়ে দমন-পীড়ন করা, এটাই সরকারের একমাত্র হাতিয়ার। সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। অবরোধ চলছে, আগামীকালও অবরোধ চলবে। পরবর্তী কর্মসূচি আসবে। যতক্ষণ না সরকার অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশের মানুষ লড়বে।
ওই সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘আমরা এই অবৈধ শাসনের পতন ঘটাব। জনগণের রাষ্ট্র কায়েম করব। জনগণ যতক্ষণ তাদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা রাস্তায় থাকবে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের আগে প্রেসক্লাব এলাকা থেকে পল্টন এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল করে ১২ দলীয় জোট। মিছিল শেষে ১২ দলীয় জোটের নেতা বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা বলেন, ‘আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করতে যাচ্ছে এই সরকার। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ করছি, আমাদেরকে ধরে আগুনে নিক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।’
পুরানা পল্টন মোড় থেকে বিজয়নগর এলাকার দিকে এলডিপির নেতা-কর্মীরাও একটি মিছিল করেছেন।
অবরোধের সমর্থনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরানা পল্টনের আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি মিছিল শুরু করে গণ অধিকার পরিষদ (একাংশ)। মিছিলটি পল্টন মোড়, নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে হরতালের নামে দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, গানপাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই সহিংস আন্দোলন করছি না, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল-অবরোধ করছি। সরকারপ্রধানের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।’
এদিকে অবরোধকে কেন্দ্র করে বিজয়নগর, পুরানা পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।