১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। তাঁরা বলছেন, সংবিধানের ‘বিকৃতি’ সংখ্যালঘুদের অধিকারকে ক্রমশই সংকুচিত করছে।
রাজধানীতে ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ সোমবার এক আলোচনা সভায় সংগঠনটির নেতারা এ কথা বলেন।
১৯৮৮ সালের ৯ জুন রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে সংযোজিত হওয়ার প্রতিবাদে দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে ঐক্য পরিষদ। প্রসঙ্গত, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা-সম্পর্কিত সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী বিল সংসদে পাস হয় ১৯৮৮ সালের ৭ জুন। এরপর ৯ জুন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে এইচ এম এরশাদ ওই সংশোধনী অনুমোদন করেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। এ সময় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বাসুদেব ধর, মিলন কান্তি দত্ত, রঞ্জন কর্মকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, তাপস কুমার পাল প্রমুখ।
সভায় ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, সংবিধানের বিকৃত রূপ জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ন করছে, সংখ্যালঘু ও নারীর অধিকারকে ক্রমশই সংকুচিত করছে। ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে গেলে সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের খপ্পর থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
সংবিধানের ধর্মীয় রূপ শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিকই নয়, বরং তা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে উৎসাহিত করে চলেছে বলেও মনে করেন ঐক্য পরিষদের নেতারা। তাঁরা বলেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আর কখনো ফিরে আসবে না।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে রক্ষায় সে দেশের জনগণের ভূমিকাকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন বক্তারা।
আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রাণতোষ আচার্য।