একসময় বলা হতো, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যায় না। তাদের সাম্রাজ্য তো ছিল আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া—এই চার মহাদেশজুড়ে। আটলান্টিক, প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের মতো বিস্তীর্ণ জলরাশির নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিল তাদের উপনিবেশ, যার মধ্যে অন্যতম বাংলাসহ ভারতীয় উপমহাদেশ। সেই সাম্রাজ্যের শাসনকে টলিয়ে দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের কিছু যুবক, ১৯৩০ সালে। মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহের সময় জেলাটি কার্যত দেশের অন্য অংশ থেকে চার দিন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল। ব্রিটিশ বাহিনী কয়েক দফা চেষ্টা করেও বিপ্লবীদের পরাস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। চার দিন পরে বিশাল বাহিনী ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা মাত্র ৫৩ জনের এই প্রতিরোধ ভাঙতে সমর্থ হয়েছিল। এ ঘটনা ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক ইতিহাসে অদ্বিতীয়।
ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রথম পর্যায়টি উনিশ শতকের শেষ দিকে বাংলা, মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাবে গড়ে উঠেছিল। তবে সংগঠিতভাবে যে সশস্ত্র বিপ্লবের প্রয়াস, তার শুরু হয়েছিল অরবিন্দ ঘোষের মাধ্যমে ১৮৯৩ সালে। জাতীয় কংগ্রেসের আবেদন-নিবেদনের আপসকামী প্রয়াসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাংলার এই তরুণ ইংল্যান্ড থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশে ফিরে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সশস্ত্র বিপ্লবের উদ্যোগ নেন। তাঁর উদ্যোগ সফল হয়নি, তবে বোমা মামলায় তাঁর গ্রেপ্তার সে সময় বাংলার তরুণদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় এ সময় বাংলায় বিপ্লবী চরমপন্থী গোপন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে থাকে। এর মধ্যে অনুশীলন সমিতিই প্রধান, যার কলকাতা ছাড়াও ঢাকা, মেদিনীপুর ও চন্দননগরে সংগঠন ছিল। এ সংগঠনের কিশোর সদস্য ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি বাংলার ঘরে ঘরে তাঁকে দেশমাতৃকার বেদিতলে উৎসর্গিত শহীদের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। ক্ষুদিরামকে নিয়ে বাঁধা গান আজও সমান আবেগের ঢেউ তুলে গীত হয় এ দেশে।
এদিকে চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্য সেন ও অম্বিকা চক্রবর্তী দুই ঘনিষ্ঠ সুহৃদ কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। সেই সঙ্গে তাঁরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে যুক্ত হয়েছিলেন গোপন সশস্ত্র বিপ্লবী সংস্থা যুগান্তরের সঙ্গে। মাস্টারদা রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নিয়মিত কংগ্রেস অফিসে বসতেন, একসময় কংগ্রেস জেলা কমিটির সম্পাদকও নির্বাচিত হন।
ব্রিটিশ বাহিনী কয়েক দফা চেষ্টা করেও বিপ্লবীদের পরাস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। চার দিন পরে বিশাল বাহিনী ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা মাত্র ৫৩ জনের এই প্রতিরোধ ভাঙতে সমর্থ হয়েছিল। এ ঘটনা ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক ইতিহাসে অদ্বিতীয়।
১৯১৮ সালে মাস্টারদা আইরিশ প্রজাতন্ত্রের সংগ্রামী নেতাদের লেখার সঙ্গে পরিচিত হয়ে স্বদেশে বিপ্লব ঘটানোর সংকল্পে অনুপ্রাণিত হন। আইরিশ স্বাধীনতাযুদ্ধের বিপ্লবী নায়ক ডি ভ্যালেরা ১৯২০ সালে নিউইয়র্কে যে উদ্দীপক বক্তৃতা দেন, সেটিও মাস্টারদাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি আইরিশ বিপ্লবের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
তাঁরা যে পাঁচজন চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহ—যা ব্রিটিশ নথিপত্রের সুবাদে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন হিসেবেই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে—সংঘটিত করেছিলেন, তার বাকি তিনজন হলেন নির্মল সেন, অনন্ত সিং ও গণেশ ঘোষ। তবে লোকনাথ বল—অপেক্ষাকৃত বয়োকনিষ্ঠ—দলে পরে এলেও ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিলের সব আক্রমণের পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছিলেন দলের মূল সংগঠকদের একজন হিসেবেই। সশস্ত্র অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দখলদার ব্রিটিশ সরকার উৎখাত করে দেশকে স্বাধীন করার ব্রত নিয়ে মাস্টারদা ও সহযোদ্ধা অম্বিকা চক্রবর্তী চট্টগ্রামে বিপ্লবী দল গঠন করেন ১৯১৮ সালে।
তাঁদের মধ্যে অনন্ত সিং অষ্টম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় গোপন বিপ্লবী দলের সংস্পর্শে আসেন এক মুসলমান সহপাঠী আফসারউদ্দিনের মাধ্যমে। তার পর থেকেই বলিষ্ঠ দেহের অধিকারী সুদর্শন অনন্ত অনেক দুঃসাহসী অভিযানে অংশ নিয়েছেন। ব্যায়ামের আখড়ায়, খেলাধূলায়, ব্যক্তিগত চলাফেরায় ওই বয়সে অনন্ত তরুণদের চোখে নায়কের আসন পেয়েছিলেন। আবেগপ্রবণ মানুষটি জনপ্রিয়তায়ও ছিলেন বাকি সবার চেয়ে এগিয়ে। তিনি ও আফসার দীক্ষা নেন বিপ্লবী নির্মল সেনের কাছে। সুরসিক মিষ্টভাষী নির্মল সেন সহজেই তরুণদের প্রভাবিত করতে পারতেন। অনন্ত সিং দলে নিয়ে আসেন সহপাঠী গণেশ ঘোষকে। নির্মল সেনের মাধ্যমে তাঁদের যোগাযোগ ঘটে মাস্টারদার সঙ্গে। এভাবে একটি ঐতিহাসিক কাজের মূল নায়কদের সংঘ গড়ে ওঠে।
চট্টগ্রাম বিপ্লবীদের ১৯৩০ সালের এপ্রিল অভ্যুত্থানটির বিশেষত্ব ও স্বাতন্ত্র্য—দুদিক থেকে। প্রথমত, এর আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে অনেক বিপ্লবীই সম্মুখযুদ্ধ করলেও কেউই এমন সুপরিকল্পিত ছকের মাধমে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেননি। তাঁদের আগে বা পরে কোনো বিপ্লবী দল এভাবে দেশের একটি অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীনতা ঘোষণা, স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন, পতাকাকে সামরিক অভিবাদন জ্ঞাপন এবং প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলে সারা ভারতের মানুষের কাছে স্বাধীনতাসংগ্রামের এমন বীরত্ব ও ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর রূপকল্প তুলে ধরেনি। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় প্রজাতান্ত্রিক বাহিনীর চট্টগ্রাম শাখা হিসেবে পরিচিতি করেছেন, এর সর্বোচ্চ কাউন্সিল গঠন করেছেন, যার সভাপতি ছিলেন মাস্টারদা। এমনকি একটি অস্থায়ী সরকার গঠনের পরিকল্পনাও তাঁদের ছিল। এসব ভাবনার পেছনে আইরিশ বিপ্লবীদের কর্মকাণ্ডের প্রভাব লক্ষণীয়। দ্বিতীয়ত, এই দলের প্রস্তুতিকালে বিভিন্ন সময়ে চলমান আন্দোলনের জোয়ার-ভাটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলায় প্রায়ই পুলিশের সতর্ক নজরদারি বহাল ছিল। এর মধ্যে সফলভাবে লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে বিস্তারিত পরিকল্পনার ছক তৈরি করা হয়েছিল, তা হুবহু শহর ও শহরের বাইরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সঠিক আঘাত হানাসহ সম্পাদন করা সত্যিই প্রায় সামরিক মানের পেশাদারি শৃঙ্খলা ও দক্ষতা ব্যতীত সম্ভব ছিল না। এ রকম দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য এর সদস্যদের মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত করা, গুলি চালানোসহ নানা কাজে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের তালিম দেওয়া, নেতৃত্ব মানা ও দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করে চলা, সর্বোপরি সব বিষয়ে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করা ছিল অপরিহার্য। এ মামলার রায়েও দল সম্পর্কে বেশ সমীহের সঙ্গে দক্ষতা, যোগ্যতা ও সাহসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ অভিযানে তাঁদের জন্য দুটি বড় বিপর্যয় ঘটেছিল। প্রথমত, পুলিশের অস্ত্রগার দখল করার পর তাঁরা যেসব উন্নত অস্ত্র পাওয়ার আশা করেছিলেন, যার অন্যতম ছিল লাইট মেশিনগান, তা তাঁরা পাননি। দ্বিতীয়ত, অস্ত্রাগারে আগুন ধরাতে গিয়ে একজন দক্ষ কর্মী হিমাংশু দত্ত গুরুতরভাবে আহত হলে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য শহরে গিয়ে দলের দুই বড় নেতা অনন্ত সিং ও গণেশ ঘোষ দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় জালালাবাদ যুদ্ধে মাস্টারদা রীতিমতো নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। অনন্ত সিংই ছিলেন এ বাহিনীর সিপাহসালার, আর গণেশ ঘোষ নির্ভরযোগ্য পরামর্শদাতা। দেখা যায়, জালালাবাদ পাহাড়ে অতিবাহিত প্রতিটি ক্ষণে মাস্টারদা তাঁদের অভাব বোধ করেছেন, তাঁদের খোঁজে শহরে একাধিক মিশন পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কোনোভাবেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি। এ দুজনও মূল দলের খোঁজ পাওয়ার, তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেটা ঘটেনি। শেষ পর্যন্ত অনেক অনিশ্চয়তা, গভীর দুশ্চিন্তা ও অসম্পূর্ণ অস্ত্র নিয়ে ৫৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে মাস্টারদা শহরের অদূরে জালালাবাদ পাহাড়ে আশ্রয় নেন।
মূল পরিকল্পনা ছিল এখান থেকে সরকার উৎখাতে করে অন্তত চট্টগ্রামকে স্বাধীন করা ও তা যতটা সম্ভব ধরে রাখা। তাহলে পত্রপত্রিকার মারফত ভারতবাসী এ অসাধারণ অর্জনের খবর পেয়ে যাবে। আর তাতে সারা দেশের তরুণসমাজ স্বাধীনতার লড়াইয়ে শামিল হওয়ার প্রেরণা পাবে। এ জন্য ব্রিটিশ অস্ত্র দখল করে স্থানীয় সরকারি বাহিনীকে অস্ত্রশূন্য করে দেওয়া দরকার ছিল, রেললাইন ও টেলিসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা প্রয়োজন হয়। যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ঢাকা বা কলকাতা থেকে সৈন্য এনে তাঁদের হটানো পর্যন্ত চট্টগ্রামকে স্বাধীন রাখাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। তাঁদের শপথ ছিল কর এবং মর—ডু অর ডাই নয়, ডু অ্যান্ড ডাই।
১৮ এপ্রিলের অভিযানের জন্য তাঁদের পরিকল্পনা ছিল উচ্চাভিলাষী, কিন্তু নিখুঁত। তাঁরা আইরিশ স্বাধীনতাসংগ্রামীদের অনুসরণে নিজেদের নামকরণ করেছিলেন—ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মির চট্টগ্রাম শাখা। মাস্টারদা সূর্য সেন সর্বাধিনায়ক।
সব দলেরই নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পাদন করে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে মূল দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা। কিছু ছোটখাটো সমস্যা-ব্যর্থতা ছাড়া সব অভিযানই সফল হয়েছিল।
ঘটনার আকস্মিকতায় এবং বিপ্লবীদের দক্ষতা ও সাফল্যে ইংরেজ প্রশাসন ও সামরিক-বেসামরিক সব কর্মকর্তা বিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে এখানে বসবাসকারী ব্যবসায়ীসহ সব ইংরেজ পরিবারের সদস্যদের জাহাজে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ব্রিটিশ বাহিনী যখন এদিকে বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে সর্বাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অভিযানে নামার জন্য তৈরি হয়েছে, তখন মাস্টারদা প্রয়োজনীয় অস্ত্রের সংকট ও মূল সামরিক নায়কদের অনুপস্থিতিতে প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় মরণপণ লড়াইয়ের অপেক্ষায়। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরে পতাকা উত্তোলন, গার্ড অব অনার ও স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের মতো আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মাস্টারদাকে কিছুটা ভগ্নহৃদয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তা নিয়ে রাতের অন্ধকারে শহর ছেড়ে অন্যদের নিয়ে পাহাড়ে গা ঢাকা দিতে হয়েছে।
বিপ্লবীদের মূল দলের অবস্থান খুঁজে বের করে ব্রিটিশ বাহিনী যখন জালালাবাদ পাহাড়ের সন্ধান পায়, তখন তারা সন্ত্রস্ত এবং সম্মুখযুদ্ধে একাধিকবার রণেভঙ্গ দিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। শেষ পর্যন্ত একাধিক অভিযান ও আক্রমণ চালিয়ে এক অসমযুদ্ধের সমাপ্তি টানে ২২ এপ্রিল পাহাড়ের দখল নিয়ে। তত দিনে অভ্যুত্থানের পরে চার দিন কেটে গেছে, অর্থাৎ প্রায় চার দিন চট্টগ্রাম বাকি দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল, বলা যায় স্বাধীন ছিল। ব্রিটিশ সৈন্য এসে পড়ার আগেই সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা ১০ জন শহীদ বিপ্লবীকে সামরিক কায়দায় শেষ অভিবাদন জানিয়ে ও আহত অম্বিকা চক্রবর্তীকে রেখে রাতের অন্ধকারে রণাঙ্গন ত্যাগ করেছিলেন।
চট্টগ্রামের বিপ্লবীরা আত্মসমর্পণ করেননি, অহেতুক আত্মাহুতিও দেননি। বিপ্লবী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার জন্য বিভিন্ন ছোট দলে ভাগ হয়ে শহরে ও গ্রামে আত্মগোপনে চলে যান। এভাবে টানা চার দিন ধরে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন রেখে তাঁরা যে ইতিহাস রচনা করেছেন, তা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে অচিন্তনীয় ছিল। এ সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ যুগে যুগে এ দেশের বিপ্লবী চেতনাকে সমৃদ্ধ ও সঞ্জীবিত করেছে।