চট্টগ্রাম নগরে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে করা মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
পরিমল ধর নামের এক গয়না ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ কামরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে। রাতেই পরিমল ধর বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার কামরুল হুদাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুদক কর্মকর্তা কামরুল হুদা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর পরিমলের দোকানে যান। সেখানে কামরুল নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পরিমলের বিরুদ্ধে ইয়াবা কারবারের মাধ্যমে কালোটাকা উপার্জনের অভিযোগ তোলেন। একই সঙ্গে তিনি দুদকের একটি চিঠিও দেন। এরপর একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে তিনি দোকান ত্যাগ করেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, বিষয়টি ভাতিজাকে জানান পরিমল। কামরুলের দেওয়া নম্বরে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ করেন পরিমলের ভাতিজা। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয় কামরুলকে ২০ লাখ টাকা দিলে তিনি বিষয়টি সমাধান করবেন। গতকাল সন্ধ্যায় টাকা নিতে চকবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় আসেন কামরুল। বিষয়টি আগেই পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে অবহিত করে রেখেছিলেন ভুক্তভোগী গয়না ব্যবসায়ী। দুজনের মধ্যে বৈঠক চলাকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামরুলকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে ২০১৬ সালে অভিযুক্ত দুদক কর্মকর্তা কামরুল একজন দুদক কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন। যদিও ওই সময় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে। তিনি বর্তমানে কুমিল্লায় দুদকের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত।