চট্টগ্রাম নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকায় গ্যাস বিস্ফোরণে লন্ডভন্ড বাড়ির আসবাব। আজ শুক্রবার সকালে
চট্টগ্রাম নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকায় গ্যাস বিস্ফোরণে লন্ডভন্ড বাড়ির আসবাব। আজ শুক্রবার সকালে

চট্টগ্রামে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১

চট্টগ্রাম নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকায় একটি ভবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে বাহির সিগন্যাল টেকবাজার সড়ক ওসমান গনি ভবনের তৃতীয় তলায় গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানা-পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক একটার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হয়। পরে আগুন দেখে প্রতিবেশীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ জানায়, ভবনের তৃতীয় তলায় চারটি ফ্ল্যাটে তিনটি পরিবার ছিল।

এ ঘটনায় আহত ১১জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন নাজির মিয়া (৪০), মো. শামসুদ্দিন (৩৫), মো. রিমন (১৮), মো. শাম্মি (১৯) ও দিপালী (৩০) এবং তিন শিশু মো. রাসেল (১২), মো. মুনসাত (১২) ও মো. হোসাইন (৬)।  

স্থানীয় বাসিন্দা তাপস বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, রাতে বিকট শব্দ শুনে জানালার কাছে ছুটে যাই। দেখি পাশের ভবনের তৃতীয় তলার দেয়াল ভেঙে গেছে আর আগুন জ্বলছে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। ওই ভবনে সিলিন্ডার গ্যাস ছিল না, লাইনের গ্যাস ছিল।

কালুরঘাট ফায়ার স্টেশন জানায়, রাত ১টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের পুলিশ ও স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেছে।  

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির বলেন, আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিস্ফোরণে ঘরের দেয়ালও ধসে পড়ে। আজ সকালে চট্টগ্রাম নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকায়

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে পাঁচজন আহত হয়। তাঁরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধীন। একই দিন রাতে নগরের ওয়াসা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে শ্রমিকদের থাকার কন্টেইনারে আগুন লাগে। রাত ১১টার দিকে নগরের বারিক বিল্ডিংয়ের এসআরবি এলাকায় রেললাইনের ওপর রাখা পরিত্যক্ত একটি রেকের দুটি বগিতে আগুন লাগে। এই দুই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।