সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে ‘ইসলামবিদ্বেষী’ বলার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৩০ সেপ্টেম্বর
সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে ‘ইসলামবিদ্বেষী’ বলার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৩০ সেপ্টেম্বর

সামিনা লুৎফাকে উদ্দেশ্য করে বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফাকে ‘ইসলামবিদ্বেষী’ বলার প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে সাবেক শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।

আজ সোমবার দুপুরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তাসরিফা আফরোজ বলেন, ‘আমরা একটি ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করতে পেরেছি বটে, কিন্তু ফ্যাসিবাদের যে উপাদান, তা এখনো বলিষ্ঠভাবে বিদ্যমান। দেড় মাসের বেশি হয়ে যাচ্ছে...আমরা বিভিন্ন রকম মবের (উচ্ছৃঙ্খল জনতা) তাণ্ডব লক্ষ করছি।’ তিনি বলেন, শিক্ষক সামিনা লুৎফা ও কামরুল হাসানকে টার্গেট করেই তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। গত ১৫ বছর কারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছে, সবাই জানে। যে মানুষগুলো নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে কথা বলে গেছে, সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের কেন আজ নিপীড়নের শিকার হতে হবে?’

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আরেক সাবেক শিক্ষার্থী অরুণা তাহসিন বলেন, সামিনা লুৎফা, কামরুল হাসান—তাঁরা  দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২১ নিয়ে সারা দেশে যখন একটা অসন্তোষ, বিশেষ করে অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন ছিলেন, সেই সময় গুটিকয়েক শিক্ষক এগিয়ে এসেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পাশে কোন কোন শিক্ষক দাঁড়িয়েছিলেন, তা আমরা জানি। কিন্তু এখন তাঁরা যখন তাঁদের কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন, তখন আমরা অনিরাপদ বোধ করি।’

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল আহাদ বলেন, সামিনা লুৎফাকে অন্যায়ভাবে ‘ইসলামবিদ্বেষী ট্যাগ’ দেওয়া হয়েছে। তিনি ক্লাসে কখনো কোনো ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্য দেননি। নিজের আদর্শ কারও ওপর চাপিয়ে দেন না। নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন। আবদুল আহাদ বলেন, ‘যেখানেই ট্যাগিংয়ের রাজনীতি হবে, আমরা প্রতিবাদ জানাব।’
প্রতিবাদ সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশে বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক ছিলেন। তবে তাঁরা কোনো বক্তব্য দেননি।