রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরের পথে যাচ্ছিল বাংলাদেশি কনটেইনার জাহাজ ‘এইচআর ফারহা’। প্রায় ১৫ ঘণ্টা চালানোর পর জাহাজটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। দেরি না করে জাহাজটি বাংলাদেশ জলসীমায় ফেরত আনা হয়।
জাহাজটির ত্রুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, মাছের জাল জাহাজের প্রপেলারে আটকে সমস্যা তৈরি হয়। প্রপেলার স্বাভাবিক গতিতে ঘুরতে না পারায় ইঞ্জিনও গরম হয়ে যায়। পরে ডুবুরি নামিয়ে ঠিক করা হয়। এরপরই আজ শুক্রবার জাহাজটি কলম্বোর পথে রওনা হয়েছে। ফলে জাহাজের রপ্তানি পণ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে।
বাংলাদেশি পতাকাবাহী এই জাহাজ পরিচালনা করছে কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এইচআর লাইনস। জাহাজটি ১ হাজার ৫৫০ একক কনটেইনার পরিবহনে সক্ষম। জাহাজটিতে থাকা কনটেইনারের মধ্যে ১ হাজার ১৯৩ একক কনটেইনারে রপ্তানি পণ্য রয়েছে।
জানতে চাইলে জাহাজটির মালিকপক্ষ কর্ণফুলী লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা প্রথম আলোকে খুদে বার্তায় জানান, প্রপেলার থেকে জাল সরিয়ে ত্রুটি দূর করা হয়েছে। জাহাজটি এখন কলম্বোর পথে রয়েছে।
সাধারণত বড় জাহাজের প্রপেলারে মাছের জাল ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও এই জাহাজের ক্ষেত্রে তা বিপদ হয়ে দাঁড়ায়। খুব দ্রুত ত্রুটি সারতে না পারলে এই বিপুলসংখ্যক রপ্তানি পণ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হতো রপ্তানিকারকদের। তবে শেষ পর্যন্ত দ্রুত ত্রুটি সারিয়ে নেওয়ায় রপ্তানি পণ্য নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটি স্বাভাবিক ঘটনা। কত দ্রুত ত্রুটি সারিয়ে নেওয়া হলো, তা প্রধান বিষয়।
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার প্রথমে ফিডার জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার বন্দরগুলোতে নেওয়া হয়। এরপর এসব বন্দরে নামিয়ে রাখা হয়। সময়সূচি অনুযায়ী সেখানে অপেক্ষমাণ ইউরোপ-আমেরিকাগামী বড় জাহাজে তুলে দেওয়া হয়।