শুরু হচ্ছে জাতীয় পিঠা উৎসব। বুধবার ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে উৎসব চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে জেলা পর্যায়ে এ উৎসব চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জাতীয় পিঠা উৎসব হবে রাজধানীর জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে। বুধবার বিকেল পাঁচটায় এর উদ্বোধন হবে। আর জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় উৎসবগুলো হবে অঞ্চলভিত্তিক পিঠাশিল্পীদের অংশগ্রহণে।
সোমবার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ‘মাছে ভাতে বাঙালি, ঐতিহ্যমণ্ডিত পিঠাপুলি রন্ধন আর পিঠার বাহারে শিল্পী আছে ঘরে ঘরে’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত হচ্ছে এবারের উৎসব।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উৎসবে বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক পর্যায় থেকে পিঠাশিল্পীরা অংশ নেবেন। এবার উৎসবে খানিকটা ভিন্নতা যোগ করা হয়েছে। যারা পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে পরিবারের জন্য পিঠা তৈরি করেন এবং লুপ্তপ্রায় পিঠাকে বংশপরম্পরায় ধরে রেখেছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। উৎসবে একটি স্টলে দুজন করে শিল্পী এক দিনের জন্য অংশ নিতে পারবেন। মূল্যায়ন কমিটি পিঠার গুণমান, ভিন্নতা ও স্বাদ যাচাই করে নম্বর দেবেন। এভাবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়জন পুরস্কৃত হবেন। এবার পিঠা উৎসবে ৫০টির বেশি স্টল থাকবে। অংশগ্রহণকারী সবাইকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সনদ দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বলেন, ‘গ্রামীণ পর্যায় থেকে আমরা পিঠাশিল্পীদের তুলে আনার চেষ্টা করছি। জাতীয় পর্যায়ে বড় পরিসরে এ পিঠার আয়োজন করা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের জন্য ঘরে ঘরে আমাদের মায়েরা যত্ন করে যে পিঠা তৈরি করেন, লোকজ সেই আদি পিঠাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই আমরা।’