কুমিল্লা নগরের রেসকোর্সে শাপলা টাওয়ার নামের একটি ভবন পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন একই এলাকার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জহিরুল হক। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে নগরের রেসকোর্সে ওই চিকিৎসকের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় চিকিৎসক জহিরুল হকের স্ত্রীও আহত হন। গুরুতর আহত চিকিৎসককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাম্মদ সনজুর মোর্শেদ জানান, এ ঘটনায় সালাউদ্দিন মোর্শেদ ভূঁইয়া নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরও আটকের জন্য অভিযান চলছে।
চিকিৎসক জহিরুলের স্ত্রী হিমির বড় ভাই কাজী শরিফ বলেন, ‘রেসকোর্সে শাপলা টাওয়ারের পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে একদল লোক এসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় চিকিৎসক জহিরুল গুরুতর আহত হন। আমার বোনকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তিনিও চিকিৎসাধীন।’
ঘটনার পর সালাউদ্দিন আটক হন। পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যান। তাঁদের মুঠোফোনও বন্ধ। ওই কারণে তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বিএমএ কুমিল্লার সভাপতি আবদুল বাকী আনিছ ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
স্বাচিপ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলম বলেন, ‘ফ্ল্যাট কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হামলা চালানো হয়। সালাউদ্দিন ও তাঁর দুই ছেলে হামলা করেন। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’