বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান

বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল

যা দেখলাম, সব মিলিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট: বিমানমন্ত্রী

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ ৯৭ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি বলেন, ‘পরিদর্শনে যা দেখলাম, সব মিলিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট।’

আজ বৃহস্পতিবার টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিমানমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত টার্মিনাল ভবনের ৯৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৩ ভাগ কাজের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন (সমন্বয়) ও টেস্টিংয়ের (পরীক্ষা) মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। তিনি বলেন, টার্মিনাল ভবনের কাজ সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। তবে এর সফলতা নির্ভর করে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের ওপর। এটি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, রক্ষণাবেক্ষণ ভালোভাবে করতে হবে।

তৃতীয় টার্মিনাল চালুর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট করে তারিখ বলা যাবে না। কারণ, এটা উচ্চ মানের কারিগরি (হাইলি টেকনিক্যাল) কাজ। এটা কোনোভাবেই পরিকল্পনা করে একদম সময়মতো বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, কর্তৃপক্ষ যথাসময়েই এটি চালু করতে পারবে।’

তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে লাগেজ হ্যান্ডলিং দ্রুত হবে কি না, দায়িত্ব কে পাবে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর যেকোনো দেশে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যাত্রীরা মনে করে প্লেন থেকে নেমে যেতে যেতে লাগেজ হাতে চলে আসবে, এটা কখনো সম্ভব হয় না। দেশে এখন প্রথম লাগেজ পেতে ১৫ মিনিট এবং শেষেরটি পেতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগে বলেও জানা তিনি। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য জয়েন্ট ভেঞ্চারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা এখনো নির্দিষ্টভাবে তাদের কোনো প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে, সেটা জানায়নি।

মালয়েশিয়া যাত্রীদের বিমানভাড়া নিয়ে একটি প্রশ্নের উত্তরে ফারুক খান বলেন, যারা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সঙ্গে জড়িত, তারা এক মাস আগেই জানত যে ৩১ মে শ্রমিক পাঠানোর শেষ তারিখ। কিন্তু এটা নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সি বা অন্য সাপ্লাইয়াররা ব্যবস্থা নেয়নি। এখন বিমান প্রতিদিন মালয়েশিয়ায় তিন-চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল বুধবার মালয়েশিয়ার কিছু লোক ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় এয়ার কম্বোডিয়ার একটা বিমানে একটি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে, গতকালই সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ আরও আগে জানলে, ব্যবস্থা নিতে পারত। এ ছাড়া ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট পরিচালনার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও মন্ত্রী জানান।