প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়ে জামালপুরে শত শত মানুষ সংসদ সদস্য মির্জা আজমসহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এসব ঘটনা ঘটে।
মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রথমে শহরের বকুলতলা এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। ওই কার্যালয়ের পাশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের বাড়ির গেট ভেঙে বিক্ষুব্ধ লোকজন ব্যাপক ভাঙচুর ও সব আসবাব নিয়ে যান। পরে বাড়িতে লোকজন আগুন ধরিয়ে দেন। এ ছাড়া তাঁর গ্রামের বাড়ি মাদারগঞ্জ উপজেলার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়।
শহরের বকুলতলা এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সোহরাব হোসেন ওরফে বাবুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। সন্ধ্যার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পাটগুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এরপর একে একে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকি বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, সহসভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সৈয়দ আতিকুর রহমান ও আমান উল্লাহ ওরফে আকাশের বাড়িতে ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। একাধিকবার কল দিলেও কেউ ধরেননি।