প্রবল বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর উপচে পড়া পানিতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। প্রবল স্রোতে ভেসে যায় মানুষ। জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ৪৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীতে অসংখ্য বাঁধ আর জলবিদ্যুতের কারণেই অতিবৃষ্টিতে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে তিস্তা।
ভারতের সিকিম রাজ্যের সব জলাধার ভেসে গেছে। তিস্তায় পানি নেমেছে। তাই আবু হানিফদের (ছদ্মনাম) মনে আশা জেগেছে মাছের। পুরোনো জাল সারিয়ে ৫ অক্টোবর সকালে তিস্তায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মালা বেগমকে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পাড়ের হরিণচড়া গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা।
শিশু মালা বেগম প্রথমে দেখতে পায়, চরের মধ্যে কে যেন চিত হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আসলে সেখানে কেউ চিত হয়ে শুয়েছিল না। সেটা ছিল কোনো এক অজানা তরুণের মরদেহ। ওই এলাকার কাছাকাছি প্রেমেরবাজার চর থেকেও পাওয়া যায় আরেকটি মরদেহ। পুলিশের ধারণা, সেটিও কোনো ভারতীয় নাগরিকের। এসব মরদেহ তিস্তায় ভেসে এসেছে। এর আগে আরও দুটি মরদেহ বাংলাদেশে ভেসে এসেছে। এর মধ্যে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের চর ছালাপাকে একটি মরদেহ পাওয়া যায়।
ভারতীয় সূত্র বলছে, বাংলাদেশ এসব মরদেহ বিএসএফের কাছে হস্তান্তরের কাজ শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা জানতে আবু হানিফদের দলের একজনকে মুঠোফোনে পাওয়া গেল। এ কথা–সে কথার পর সুবল জলদাস (ছদ্মনাম) স্বগতোক্তি করে বললেন, ‘নদী ঠেকানো জব্বর পাপ, তারে জল না দিলে সে লাশ নিয়ে নামে।’
সুবল জলদাস কোনো নদীবিশেষজ্ঞ নন। নদী নিয়ে প্রকৃতিপ্রেমীদের মোমবাতি মিছিলে লম্বা–চওড়া কথা হয়; কিন্তু তাঁর এমন কথাটা কোনো দিন এসব মিছিলে শোনা হয়নি।
শিলিগুড়ির এক সাংবাদিক নদীবিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে ৫ অক্টোবর শিলিগুড়ির একটি স্থানীয় বাংলা দৈনিকে লিখেছেন, ‘সিকিমে যা ঘটেছে, তা পূর্বঘোষিত বিপর্যয়ের বৃত্তান্ত। তিস্তার মতো পাহাড়ি নদী এখন দেশের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাঁধের নদী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি মধ্যরাতের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত উড়ে গেছে সিকিমের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প “কিম উরজা” যেটিকে আগে বলা হতো তিস্তা উরজা। ওই বাঁধ ভাঙতে ১০ মিনিট লেগেছে। এমন যে হতে পারে, তার পূর্বাভাস আগেই দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় পত্রিকার খবরে জানা যায়, ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তিস্তাকে কেন্দ্র করে ৪৭টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিল। এর মধ্যে ৯টি চালু হয়ে গেছে, ১৫টির কাজ চলছে। অধিকাংশই উত্তর সিকিমে।’
ওই লেখায় বলা হয়, ‘ওই অঞ্চল যে ভঙ্গুর, তা বিশেষজ্ঞ সংস্থা আগেই বলেছিল। সিকিম সরকার তিস্তা-৩ প্রকল্পের কাজ করছে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। ৪৪১ কিলোমিটার তিস্তার ওপর এত বেশি বাঁধ আর বিদ্যুৎ প্রকল্প যে পরিবেশকে ধ্বংস করে দেবে, সেটি বারবার বলেছেন পরিবেশবিদেরা। তিস্তার স্বাভাবিক স্রোত বন্ধ হয়ে গেছে। তাই হঠাৎ হিমবাহে ভাঙনে তিস্তা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।’
স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বৃষ্টিপাতে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। সেটা ১৯৬৮ সালের চেয়েও নাজুক ছিল। ওই সময় অতিমাত্রায় বৃষ্টিতে প্রায় এক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। তবে তখন এবারের মতো অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তখন অবশ্য কাঠামো তেমন কিছু ছিল না। তিস্তা ছিল উন্মুক্ত, পানি তার খেলা তেমন দেখানোর সুযোগ পায়নি। এবার আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা নদী তার ক্ষমতা দেখিয়েছে।
সিকিমে ভয়ংকর দুর্যোগে মৃত্যু আর নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কত দেহ নিয়ে পাহাড় থেকে সমতলে নেমেছে তিস্তা, তার সঠিক হিসাব প্রশাসনের কাছে নেই। তবে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৮২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। নিখোঁজ ছিলেন ১৪০ জন। প্রবল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ২৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ১ হাজার ২০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, নষ্ট হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, ১৩টি সেতু বলতে গেলে ভেসে গেছে। পানির স্রোতে ভেসে গেছে সেনাবাহিনীর গাড়ি, অস্ত্র ও গোলাবারুদ। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভেসে যাওয়া প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। সিকিমের বাইরে পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা নদীর পাড় থেকে ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ পর্যন্ত এসেছে চারটি মৃতদেহ। নিখোঁজ ভারতীয় ২২ সেনাসদস্যসহ ১৪২ জনের সন্ধানে সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গের যেসব অঞ্চলের মধ্য দিয়ে তিস্তা প্রবাহিত হয়েছে, সেসব অঞ্চলে উদ্ধার অভিযান চলছে।
সিকিমের সেবক পর্যন্ত পাহাড়ি পথে তিস্তা নদী খরস্রোতা। সেবকের পর থেকে তিস্তার কিছু বহন করে নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। গজলডোবা বাঁধ হয়ে জলপাইগুড়ি শহরের কাছে থাকা সেতুর আশপাশে এসে মরদেহ ও দেহাংশ আর বইতে পারছে না তিস্তা। তাই জলপাইগুড়ির আশপাশ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে বেশি। কিন্তু বিপর্যয়ের পরের দুদিন নদীর স্রোত এতটাই তীব্র ছিল, দেহ ভাসিয়ে নিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ পর্যন্ত। পশ্চিমবঙ্গের অংশে তিস্তার পাড়ে ঘন কাশবনের ভেতরে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে হাতের আঙুল, কানের টুকরো, পায়ের অংশ। শিয়াল-কুকুর মুখে নিয়ে চলে যাচ্ছে চরের ঝোপে। তার কোনোটি সেনা জওয়ানের, কোনোটি সাধারণ বাসিন্দার।
বাংলাদেশ অংশে এখনো গোলাবারুদ বা আগ্নেয়াস্ত্র ভেসে আসার খবর পাওয়া না গেলেও আশঙ্কা আছে পুরো মাত্রায়। ৫ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা অংশে নদীতে পাওয়া শেল তুলে এনে ভাঙার চেষ্টা করতে গিয়ে বিস্ফোরণে ক্রান্তি এলাকার এক শিশুর মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন আরও পাঁচজন। পরদিন ৬ অক্টোবর জলপাইগুড়ি, ক্রান্তি, মালবাজার, ময়নাগুড়ি থেকে মেখলিগঞ্জের তিস্তার পাড়ে বা নদী থেকে অনেকটা দূরে ফাঁকা জায়গায় শেল, মর্টার, নাইট্রোজেন সিলিন্ডার পড়ে থাকতে দেখা গেছে। নদীতে বিস্ফোরক-অস্ত্র দেখলে যাতে হাত না দিয়ে দ্রুত স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়—সামাজিক মাধ্যমে সেই প্রচার চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। আমাদেরও সাবধান থাকতে হবে।
সিকিমের বহু জায়গায় এখনো আটকা পড়ে আছেন কয়েক হাজার পর্যটক। সিকিম সরকারের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় তিন হাজার পর্যটক উত্তর সিকিমে আটকা পড়েছেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভারতীয় বিমানবাহিনী চেষ্টা করেও তাঁদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি পর্যটকের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কয়েকজন বাংলাদেশির সন্ধান মিলছে না বলে নানা সূত্রে জানা গেছে।
সাবেক সচিব জয়নাল আবেদিন (ছদ্মনাম) অবসর প্রস্তুতির ছুটিতে গিয়েই ফেসবুকে তাঁর নাম পাল্টে রাখলেন জয়নাল অবসর। নিজেকে নিয়ে যাঁরা রসিকতা করতে পারেন, তাঁরাই প্রকৃত রসিক মানুষ। এ রকম একজন রসিক জয়নাল সাহেব সিকিমে আটকা পড়েছেন। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে গিয়েছিলেন, কথা ছিল ৭ বা ৮ অক্টোবর শিলিগুড়ি হয়ে দেশে ফিরবেন। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় বৃষ্টি। এরপর মেঘভাঙা (প্রবল বর্ষণ) বৃষ্টি।
বলা যায়, তিনি ও তাঁর পরিবার ভারতের নতুন ভিসা নীতির অসহায় শিকার। ভ্রমণ পরিকল্পনার সময় তাঁকে পইপই করে সবাই নিষেধ করেছিলেন, ঝড়বৃষ্টির মাসে গ্যাংটক (সিকিমের রাজধানী) না যেতে। তাঁর পাঁচ বছরের ভিসা নভেম্বরে শেষ হবে। তারপর নতুন করে আবার আবেদন–নিবেদন করে ভিসা পেতে ছয়–সাত মাসের ধাক্কা। তত দিনে হজের মৌসুম শুরু হয়ে যাবে। বড় ছেলে হজে যাবেন। তাঁকে কথা দেওয়া আছে, তাঁর শিশুর দেখাশোনা করবেন তিনি। আগের মতো ১০–১৫ দিনে ভিসা পাওয়ার সুযোগ থাকলে তিনি হয়তো সিকিম যেতেন না।
যাই হোক, জয়নাল নিরাপদে থাকলেও চট করে ফিরতে পারছেন না। তাঁর সঙ্গে যাওয়া তাঁর মার্কিন কন্যা উত্তর সিকিমের লাচেনে গিয়েছিলেন তাঁর মার্কিন স্বামীকে নিয়ে। দুদিন ধরে গ্যাংটক ও পেলিং এলাকা থেকে প্রচুর পর্যটক সমতলে নেমে এলেও উত্তর সিকিম তথা লাচেন, লাচুং থেকে পর্যটকদের তাৎক্ষণিক ফেরানো সম্ভব হয়নি। সরকারিভাবে জানানো হয়, উত্তর সিকিমের লাচুং ও লাচেন এলাকায় প্রায় দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েছিলেন। অবশ্য বেসরকারি হিসাবে বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সংখ্যাটা আড়াই হাজারের কম নয়। তবে পর্যটকেরা সেখানে সুরক্ষিত ছিলেন। হোটেল, গেস্টহাউস, সরকারি ভবনগুলোতে পর্যটকদের ফ্রি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে সিকিম রাজ্য সরকার।
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং দাবি করেছেন, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর কারণে ভেঙেছে বাঁধ। তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন; আবিষ্কার করেছেন ‘কন্সপিরেসি বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’। কোনো কোনো গবেষক আবহাওয়াকে দায়ী করে বলেছেন, সিকিমের এই দুর্যোগের পেছনে দায়ী মূলত এল নিনো। এর প্রভাবেই প্রতিবছর পাহাড়ি অঞ্চলে এই দুর্যোগ বাড়বে।
সিকিমের এই বিপর্যয়ের জন্য অতিরিক্ত বৃষ্টির সঙ্গেই লোনাক লেক নামের হ্রদ ভেঙে যাওয়াকেই অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন একদল বিশেষজ্ঞ। আবার বিজ্ঞানীদের একাংশর মতে, এই হ্রদ ভেঙে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো নেপালে ভূমিকম্প। তাঁদের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে সিকিমে আরও বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। কী কারণে এই বিপর্যয় নেমেছে, তার কারণ খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের যে স্যাটেলাইট চিত্র পাওয়া গেছে, তাতেই দেখা গেছে লোনাক হ্রদের নাটকীয় রূপান্তর হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ৪ অক্টোবর সকাল ছটায় রিসাট ১এ উপগ্রহ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার সময়ে ওই হ্রদের ছবি তোলে সেন্টিনেল ১এ। ১৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর এবং বিপর্যয় নেমে আসার দিনের ছবিতে ‘অস্থায়ী পরিবর্তন’ লক্ষ করা গেছে।
ওই বিশ্লেষণ অনুসারে, ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবরের মধ্যে ওই হ্রদ থেকে প্রায় ১০৫ হেক্টর জমির পানি নিষ্কাশন হয়েছে। ঘটনার দিন সেখানে মাত্র ৬০ দশমিক ৩ হেক্টর এলাকায় পানি ছিল। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে হঠাৎ ওই পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে সেখানে এই আকস্মিক বন্যার সূত্রপাত হয়। আইএসআরও জানিয়েছে, তারা এখনো উপগ্রহের তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করছে এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। একই সঙ্গে হিমালয় অঞ্চলে হিমবাহ হ্রদ বিস্ফোরণের জেরে বন্যার প্রভাব প্রশমিত করতে কী ধরনের সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা–ও সক্রিয়ভাবে দেখছে ইসরো।
কিন্তু সুবল জলদাসের চোখে কেউ দেখছে না বন্যার বিপর্যয়কে। একটু পরপর নদীর পথ বন্ধ করে জলাধার বানিয়ে বিদ্যুতের ফোয়ারা দিয়ে ম্যাজিক করতে চাওয়া সহজ; কিন্তু নদীকে তার গন্তব্যে যেতে বাধা দিলে নদী সেটা মানবে না। নদীর সঙ্গে একটা সমঝোতা বড় দরকার।
পুনশ্চ, অপরিকল্পিতভাবে সিকিমে একাধিক জায়গায় পাহাড়ের ঢালে হোটেল তৈরি করা হয়েছে। সিকিমে ভিত শক্ত নয়, এমন অনেক জায়গায় কোনো নিয়ম না মেনেই যত খুশি, যেমন খুশি হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। ফলে বন্যার চাপে সেগুলো ভেঙে পড়েছে। মানুষ হারিয়েছে সর্বস্ব। আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে।
● গওহার নঈম ওয়ারা লেখক গবেষক
nayeem 5508 @gmail. com