‘গোল্ডেন হক’ নামের জাহাজটি বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। ২৩ নাবিক, ক্রুসহ জাহাজটি জিম্মি করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা
‘গোল্ডেন হক’ নামের জাহাজটি বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। ২৩ নাবিক, ক্রুসহ জাহাজটি জিম্মি করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা

জিম্মি জাহাজ এখন সোমালিয়ার উপকূলে

ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে গেছে দস্যুরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটা নাগাদ জাহাজটি গ্যারাকাদ নোঙর এলাকা থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে দস্যুরা নোঙর করে রেখেছে।  

লন্ডন ও কুয়ালালামপুরভিত্তিক জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি) থেকে তথ্য নিয়ে জাহাজটির এই অবস্থানের তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জানান, জাহাজটি গ্যারাকাদ থেকে দুই ঘণ্টার দূরত্বে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দস্যুদের কেউ মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

জাহাজটির মালিকপক্ষের একজন প্রতিনিধিও জাহাজটি নোঙর করে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রথম আলোর কাছে।  

সমুদ্রগামী জাহাজের অবস্থান পর্যবেক্ষণকারী ‘শিপফিক্স’–এর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, জাহাজটি সাড়ে ১০ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলেছে। সোমালিয়ার উপকূলের কাছে অবস্থান করছে জাহাজটি।

মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনের তথ্য অনুযায়ী, জিম্মি করার সময় জাহাজটির অবস্থান ছিল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে ভারত মহাসাগরে।

জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। তিন মাস আগে গ্রুপের বহরে যুক্ত হয়েছিল জাহাজটি।