নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলামের রাজধানীর শাহীনবাগের বাসায় গেছে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয়ের মানবাধিকারবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হুমা খান ও মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা জাহিদ হোসেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নিখোঁজ সাজেদুলের বাসায় যান।
সাজেদুলের বোন সানজিদা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাসায় আসার কারণে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কতটা চাপ এসেছে এবং কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন কি না—এসব বিষয়ে খোঁজ নিতেই জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল এসেছিল। তা ছাড়া জাতিসংঘ সব সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোচ্চার থাকে। এ ধরনের ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের পরিবার কী অবস্থায় আছে, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সে খোঁজও নিয়েছেন।
সাজেদুল ইসলাম ২০১৩ সালে নিখোঁজ হন। তাঁর পরিবারের দাবি, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে তুলে নিয়ে গেছেন। তাঁর বোন সানজিদা গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়কারী।
সানজিদা অভিযোগ করেন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যখন কেউ কথা বলতে চান, সরকারের পক্ষ থেকে উল্টো তথ্য দেওয়া হয়। তাঁদের কোণঠাসা করা হয়।
পিটার হাস বাসায় আসার পর তাঁদের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে অনেক বেশি চাপ এসেছে। বাসায় একবার পুলিশও এসেছিল। এ অবস্থা থেকে কীভাবে কাজ করা যায়, করণীয় কী হতে পারে—এসব বিষয় নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর পিটার হাস বিএনপির নিখোঁজ নেতা সাজেদুলের বাসা থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাইরে একদল লোক তাঁকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
পরে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় বৈঠক শেষ না করে সাজেদুলের বাসা থেকে বের হয়ে যান পিটার হাস। বিষয়টি তাঁরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানিয়েছেন।