সাভারের জোরপুল এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তেলবাহী লরি উল্টে আগুন ধরে যায়
সাভারের জোরপুল এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গতকাল  মঙ্গলবার ভোরে তেলবাহী লরি উল্টে আগুন ধরে যায়

সাভারে লরির তেল ছড়িয়ে আগুনের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

সাভারের জোরপুল এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে লরি থেকে ছড়িয়ে পড়া তেলে আগুন লেগে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. হেলাল হাওলাদার  (৩০)। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়াল।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হেলালের পুরো শরীর দগ্ধ হয়েছিল।

হেলালের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ছোটগরিচন্না গ্রামে। তিনি ট্রাকচালক ছিলেন।

হেলালের মামাতো বোন সুইটি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাই বরগুনা থেকে ট্রাকে করে তরমুজ নিয়ে গাজীপুরে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় তিনি দগ্ধ হন।

মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে জোড়পুল এলাকায় তেলবাহী লরিটি উল্টে তেল ছড়িয়ে তাতে আগুন ধরে যায়। এতে আশপাশে থাকা দুটি ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি প্রাইভেট কারে আগুন লাগে। এসব যানবাহনে থাকা ১০ জন পুড়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই ইকবাল হোসেন নামের একজনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ ব্যক্তিদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে মৃত্যু হয় নজরুল ইসলাম নামের আরেকজনের।

আগুনে দগ্ধ বাকি সাতজন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে মিলন মোল্লার (২২) শরীরের ৪৫ শতাংশ, মিমের (১০) শরীরের ২০ শতাংশ, আল-আমিনের (৩৫) শরীরের ১০ শতাংশ, নিরঞ্জনের (৪৫) শরীরের ৮ শতাংশ, আবদুস সালামের (৩৫) শরীরের ৫ শতাংশ, সাকিবের (২৪) শরীরের শত ভাগ ও আল আমিনের (২২) শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।