পানি ভবনের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত কাজে অফিসের গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। সকাল নয়টায় অফিসের কার্যক্রম শুরু করে বিকেল পাঁচটার মধ্যেই অফিস ত্যাগ করতে হবে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্য সংস্থাগুলোর সব অফিসে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলনকক্ষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এমন একগুচ্ছ নির্দেশনা দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, দুই ঘণ্টা পর এক ঘণ্টা সেন্ট্রাল এসি চালু থাকবে। তবে সেন্ট্রাল এসির নিয়ন্ত্রণযোগ্য অংশের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামানো যাবে না। পানি ভবনের সব কটি করিডরের লাইট বন্ধ রাখা, কক্ষগুলোর ডেস্কের ওপরে অবস্থিত লাইট ছাড়া অন্য সব লাইট বন্ধ রাখা, কক্ষ ত্যাগের সময় লাইট ও এসি বন্ধ রাখা, পানি ভবনের ভেতরের সব গ্লাস ডোর বন্ধ রাখা, আলো প্রবেশের সুবিধার্থে গ্লাস ডোরে লাগানো ফ্রস্টেড পেপার খুলে স্বচ্ছ করতে হবে। এ ছাড়া পানি ভবন ক্যাম্পাসের গার্ডেন লাইটগুলো বন্ধ রাখা, ভবনে তিনটি লিফট চালু রেখে বাকি সব লিফট বন্ধ রাখা, ইলেকট্রিক কেটলি ও ওভেন ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা, দিনের বেলায় সূর্যের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে একই গাড়িতে একাধিক কর্মকর্তার অফিস যাতায়াতে উৎসাহিত করা, সাইট পরিদর্শনে একাকী গাড়ি ব্যবহার কমানো, প্রশিক্ষণ কোর্সের সংখ্যা কমানো, সভাগুলো যথাসম্ভব অনলাইনে করতে হবে। রাজধানীর ৭২ গ্রিন রোডের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব ভবনে এ সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর থাকবে।
সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালমা জাফরিনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।