এক দিন বাবার হেফাজতে, অন্য দিন মায়ের হেফাজতে থাকবে মেজ শিশু

এরিকো-ইমরান দম্পতি ও তাঁদের শিশুসন্তানেরা
ফাইল ছবি

জাপান থেকে আনা দুই শিশুর মধ্যে মেজ শিশুকে এক দিন তার বাবার হেফাজতে, অন্য দিন মায়ের হেফাজতে রাখার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিশুদের বাবা ইমরান শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার।

নাসিমা আক্তার বলেন, জাপান থেকে আসা দুই শিশুর মধ্যে মেজ শিশু বাবার কাছে ছিলেন। তবে মেজ শিশু নিখোঁজ, এমন তথ্য জানিয়ে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়। পরে মেজ শিশু ও তার বাবাকে র‍্যাবের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। আজ মেজ শিশুকে ঢাকার সিএমএম আদালতে আনা হয়। মেজ শিশু বারবারই বলেছে, সে তার বাবার সঙ্গে থাকতে চায়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মেজ শিশুকে এক দিন বাবার কাছে, আরেক দিন মায়ের জিম্মায় রাখার আদেশ দেন। পরে আদালতে জিম্মানামা জমা দেওয়ার পর মেজ শিশু বাবার সঙ্গে বাসায় যায়।

আইনজীবী নাসিমা আক্তার আরও বলেন, দুই শিশুকে নিজের হেফাজতে চেয়ে করা ইমরান শরীফের মামলা খারিজের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে গতকাল বুধবার ঢাকার জেলা জজ আদালতে আপিল করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওই দিন পর্যন্ত মেজ শিশু এক দিন বাবার হেফাজতে, অন্য দিন মায়ের হেফাজতে রাখার আদেশ দেন আদালত।

দুই শিশুকে নিজ হেফাজতে চেয়ে ইমরান শরীফের করা মামলা গত রোববার খারিজ করে দেন ঢাকার পারিবারিক আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, মামলা করার কারণ আদালতের কাছে প্রমাণ করতে পারেনি বাদীপক্ষ; বরং আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, জাপান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা দুই শিশুর বেড়ে ওঠা জাপানে। সেখানে তারা লেখাপড়া করেছে। তাদের মা নাকানো এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনটি সন্তান জন্মের পর মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে তিনি সন্তানদের পাশে ছিলেন।

আদালতের রায় অমান্য করে জাপানি মা নাকানো এরিকো দ্বিতীয়বারের মতো বড় মেয়েকে নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ ত্যাগের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। নাকানো এরিকোর দেশ ছাড়ার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাঁকে ইমিগ্রেশন পুলিশ ফিরিয়ে দেয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এর আগেও জাপানি মা তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে স্বদেশে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁদের ফিরিয়ে দেয়।