নোয়াখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ জাল করে চাকরি নেওয়ার দায়ে মোরশেদ আলম নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও আট মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নূর মাসুদ আদালতের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পৃথক তিনটি ধারায় ওই কনস্টেবলকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ড পাওয়া আসামি পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ফেনী জেলায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় স্থানীয়ভাবে ৭৩ প্রার্থীকে ফেনী পুলিশ লাইনস মাঠে প্রাথমিক বাছাই করা হয়। বাছাই করা প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৪৫ জন পুরুষের মধ্যে ৯ জনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে মোরশেদ আলম মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ছিলেন। চূড়ান্ত হওয়ার পর তাঁকে ৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে পাঠানো হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পদায়ন করা হয়। এরই মধ্যে তাঁর দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাইয়ের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো হলে সনদটি জাল হিসেবে ধরা পড়ে। এতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মামলার পর আসামি পালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। জালিয়াতি ধরার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে রায় দিয়েছেন।