সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিয়াম হোসেনকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কলকাতার সিআইডি পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে বারাসাতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের হেফাজতে চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আনোয়ারুল আজীম হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নেপালে আটক সিয়াম হোসেনকে গতকাল শুক্রবার ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে মোট পাঁচজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশে, বাকি দুজন কলকাতায়। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সৈয়দ আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান। ভারতে আছেন জিহাদ হাওলাদার ও সিয়াম হোসেন।
বাংলাদেশের ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের আগে জানিয়েছিলেন, আনোয়ারুল আজীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের সহযোগী সিয়াম।
এদিকে কসাই জিহাদ হাওলাদারকে সিআইডি ১২ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে হাজির করে। আদালত জিহাদকে পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
দুই দেশের পুলিশ এর আগে বলেছিল, কলকাতার ফ্ল্যাটে খুন করার পর আনোয়ারুল আজীমের লাশ টুকরা টুকরা করা হয়। এরপর দেহের খণ্ডিত অংশগুলো গুম করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন জিহাদ হাওলাদার ও সিয়াম হোসেন। জিহাদকে আগেই গ্রেপ্তার করে কলকাতার পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যে কলকাতার খালে দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েও লাশ বা কোনো দেহাংশ পায়নি সেখানকার সিআইডি। সবশেষ নেপালে আটক সিয়ামকেও হেফাজতে পেয়েছে কলকাতা সিআইডি।
কলকাতার যে ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল খুন হয়েছেন, বলা হচ্ছে, সেখানকার সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংসের টুকরা উদ্ধার করেছিল সেখানকার পুলিশ। কিন্তু সেটা আনোয়ারুলের কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ জন্য ডিএনএ পরীক্ষা দরকার। ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত আনোয়ারুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনো কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেনি।
ডিএনএ নমুনা দিতে আনোয়ারুলের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ভারতের ভিসা করিয়ে রেখেছেন। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ডিএনএ নমুনার জন্য একটা প্রক্রিয়া আছে। ভারতের পুলিশ বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভারতে গিয়ে ডিএনএ নমুনা দিতে হবে।