কিশোর-কিশোরী ক্লাবের অনুষ্ঠানে আর সবার সঙ্গে গাইত মেয়েটি, ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্য রাগে।’ কম দামের লাল-সবুজ শাড়ি, টিকলি-টায়রা, কানে দুল আর মাথায় প্লাস্টিকের ফুল লাগিয়ে ‘জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ’ গানের সঙ্গে নাচত। সেই জ্বলে ওঠা আর হয়নি। মাস বিশেক আগে এক ঈদের ছুটিতে বিয়ে হয়ে যায় মেয়েটির। তখন সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। বিয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্কুল, ক্লাবের পাঠও চুকে যায় তার। ছোটখাটো গড়নের দুবলা মেয়েটির কোলে এখন আট মাসের একটি কন্যাশিশু।
জন্মনিবন্ধন অনুসারে মেয়েটির বয়স ১৪ বছর। থাকে শ্বশুরবাড়িতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নে। গত ১৮ এপ্রিল সেখানেই কথা হয় তার সঙ্গে। বেলা তখন ১১টা। কোলের শিশুটি বিছানায় ঘুমাচ্ছে। টিনের চালা আর মাটির মেঝের ঘর। বারান্দায় প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে কথা শুরু হয়। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মেয়েটি বলল, এনজিও টিএমএসএসের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্য থাকার সময় নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে। সেবার অনুষ্ঠানের পাঁচ দিন পর তার বিয়ে হয়ে যায়।
এত ছোট অবস্থায় মা-বাবা কেন বিয়ে দিল-জানতে চাইলে লাজুক হাসে মেয়েটি। দিন কয়েক আগে ঈদ গেছে। মেহেদির রং হাত থেকে তখনো মুছে যায়নি। দুই হাতে মুখ ঢাকছিল বারবার। বলল, ‘দাদির হাউস (শখ) থেকে বাবা-মা বিয়ে দিছে। বাবা-মা বলছে, এখনকার দিন-সমাজ ভালো না। অনেকে এখন পালায় যাইয়া বিয়া করে। সেই ভয় পাইত বাবা-মা। ভালো ছেলে (পাত্র) পাইছে, তাই বিয়া দিয়া দিছে।’ মেয়েটির বাবা ইজিবাইকের চালক। চার বোনের মধ্যে সে সবার বড়। স্বামী (২৪) ইটভাটায় কাজ করেন। পড়াশোনা কেন বন্ধ হলো জানতে চাইলে বলল, স্বামী চায় না সে আর পড়ুক। বেশি পড়লে যদি অন্য ছেলের সঙ্গে ‘পালায়’ যায়!
নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও হোঁচট খেতে হচ্ছে বাল্যবিবাহের কারণে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।রাশেদা কে চৌধূরী, নির্বাহী পরিচালক, গণসাক্ষরতা অভিযান
ওই বাড়ি থেকে বের হতেই মেয়েটির চাচাতো জায়ের সঙ্গে দেখা হয়। খড়ের গাদা গোছাতে গোছাতে ১৬ বছর বয়সী মেয়েটি জানাল, বছরখানেক আগে মালয়েশিয়াপ্রবাসীর সঙ্গে মুঠোফোনে তার বিয়ে হয়েছে। স্বামীকে এখনো সামনাসামনি দেখেনি।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাল্যবিবাহের প্রবণতা নিয়ে গত এপ্রিলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। সে প্রতিবেদন বলছে, বাল্যবিবাহের উচ্চ হারের দিক থেকে বগুড়া শীর্ষ তিন জেলার একটি। জেলায় ১৮ বছর বয়সের নিচে বাল্যবিবাহের হার ৬৩ শতাংশের বেশি (তৃতীয় অবস্থানে)। আর ১৫ বছরের নিচে এ হার ২০ শতাংশের বেশি (দ্বিতীয় অবস্থানে)। ১৮ বছরের নিচে বাল্যবিবাহের হার শিবগঞ্জ ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় যথাক্রমে ৬৩ ও ৬৫ শতাংশ। মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯ প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
গত ১৭ ও ১৮ এপ্রিল প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল, শিবগঞ্জ ইউনিয়ন, শিবগঞ্জ পৌরসভা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল শিমুলতাইর গ্রাম ঘুরে দেখেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, বাল্যবিবাহের ঘটনা সেখানে খুব স্বাভাবিক। ঈদের ছুটিতে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া এক মা বলছিলেন, ‘ছোট মেয়েরা সংসারের সগলের সাথে মিলামিশা থাকে। তাই লোকজন ছোট মেয়েক বিয়া করতে চায়। মেয়েক কষ্ট কইরে বড় করমু, আর সে নিজের ইচ্ছামতো বিয়া করবি! এটা কি মেনে নিমু?’
বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটিগুলোকে আরও কার্যকর করা হচ্ছে জানিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মূলত সামাজিক সচেতনতার অভাবে ও অজ্ঞতার কারণে বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটছে। ছেলেদেরও বাল্যবিবাহ হচ্ছে। বাল্যবিবাহের কারণে মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়, কম বয়সে গর্ভধারণ হয়, অনেক ক্ষেত্রে কম সময়ে বিবাহবিচ্ছেদও হয়ে যায়। মন্ত্রণালয় মূল কারণগুলো খুঁজে দেখছে।
মা-বাবা বিয়ে দিছে। মা-বাবা বলছে, এখনকার দিন-সমাজ ভালো না। ভালো ছেলে পাইছে, তাই বিয়া দিয়া দিছে।বাল্যবিয়ের শিকার এক মেয়ে
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কাজ করে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ বা টিএমএসএস। বেসরকারি এই সংস্থার যুগ্ম পরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান ও কর্মসূচি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার মাঠ পর্যায়ে তাঁদের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, আগে বাল্যবিবাহের পেছনে দারিদ্র্যকে প্রধানভাবে দায়ী করা হতো। কিন্তু এখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। মূলত সামাজিক প্রথা লালন-পালন থেকেই বাল্যবিবাহের এই ভয়াবহ প্রবণতা। ‘দিনকাল’ ভালো না, স্মার্টফোনের কারণে ছেলেমেয়ে ‘নষ্ট’ হয়ে যাচ্ছে, কার না কার সঙ্গে পালিয়ে যায়-এমন সব অজুহাতে মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে মা-বাবাকে সচেতন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বাল্যবিবাহের শিকার যেসব মেয়ের সঙ্গে এ প্রতিবেদক কথা বলেছেন, তাদের কারও বিয়ে নিবন্ধন হয়নি। বিভিন্ন বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে মতের ভিন্নতা থাকলেও বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে অভিভাবকেরা এককাট্টা হয়ে যান। কেউ কারও মেয়ের বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জানাতে চান না। বিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক সময় স্কুলের দীর্ঘ ছুটি যেমন বার্ষিক পরীক্ষার পর, রমজান ও ঈদের ছুটির সময়টাকেও কাজে লাগান তাঁরা।
টিএমএসএসের তথ্য বলছে, সংস্থার কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্য ছিল এমন ১৮টি মেয়ের বাল্যবিবাহ হয়ে গেছে এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে। ক্লাবের বাইরে এ সংখ্যা আরও বেশি হবে।
শিবগঞ্জ পৌরসভার বানাইল গ্রামে গিয়ে কথা হয় এক মায়ের সঙ্গে। তাঁর দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে মেয়ে ছোট। গত বছর ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পক্ষে তাঁর যুক্তি, ‘ছেলে ভালো (বিক্রয়কর্মী) পাইছি। স্কুলের ছইল-পইলরা পলায় যায়। কিছু করার আগে বিয়া দিয়া দিছি।’
এত সব হতাশার খবরের মধ্যে স্বস্তি পাওয়া গেল শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে। এই বাড়ির মেয়েটি নিজের বাল্যবিবাহ ঠেকিয়েছিল। মেয়েটি গত বছর উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অপেক্ষায়। তিনি জানালেন, আশপাশের বাল্যবিবাহের শিকার অনেক মেয়ের করুণ অবস্থা দেখে তিনি বিয়েতে রাজি হননি।
সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের দুর্গম চর শিমুলতাইর। নৌকা ছাড়া সরাসরি যেতে বেশ বেগ পেতে হয়। যমুনা নদীতে এ সময় পানি কম থাকে বলে নৌকায় সময় বেশি লাগে। বর্ষায় নৌকাই একমাত্র বাহন। শুষ্ক মৌসুমে ঘোরপথে ধুলায় মাখামাখি হয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও অটোরিকশায় যাতায়াত করা যায়। গত ১৭ এপ্রিল নৌকায় ঘণ্টা দুয়েক পাড়ি দিয়ে গ্রামটিতে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে যায়। চরটিতে ১০০ পরিবারের বাস। গ্রামের কয়েকটি ঘর ঘুরে অল্প বয়সী কয়েকটি মেয়ের সঙ্গে কথা হয়। তারা সবাই বাল্যবিবাহের শিকার। কারও কারও একটি-দুটি সন্তান আছে। গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে একটি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়তে হলে এক ঘণ্টা হেঁটে যেতে হয় পাকুল্লা গ্রামে।
গ্রামের কাজি মো. দুলালউদ্দিন শেখের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির পর আর পড়েনি। ঈদের ছুটিতে তিনি মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। এলাকার কেউ কেউ এটাকে বাল্যবিবাহ বললেও তিনি দাবি করেন, মেয়ের বয়স ১৯ বছর।
গ্রামের কয়েকটি ঘর ঘুরে অল্প বয়সী কয়েকটি মেয়ের সঙ্গে কথা হয়। তারা সবাই বাল্যবিবাহের শিকার। কারও কারও একটি-দুটি সন্তান আছে। গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে একটি।
চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘এখানে ১৮ বছরের অধিক মেয়েগার বাপ-মা বাড়িত রাখতে চায় না। বিয়া দেওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে। ১৫-১৬ বছরেই বেশি বিয়া হয়।’
সারিয়াকান্দিতে মাসে সাত-আটটি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়-এমন তথ্য দিয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এই উপজেলায় বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চলে বাল্যবিবাহের ঘটনা বেশি ঘটছে। ভিন্ন এলাকায় মেয়েকে নিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়।
এখানে ১৮ বছরের অধিক মেয়েগার বাপ-মা বাড়িত রাখতে চায় না। বিয়া দেওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে। ১৫-১৬ বছরেই বেশি বিয়া হয়।মো. তাজুল ইসলাম বাদশা, ইউপি চেয়ারম্যান, চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন
গত বছর ‘বর্ন টু বি এ ব্রাইড’ (কনে হওয়ার জন্যই যেন জন্ম) শিরোনামে একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্র্যাকের সোশ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড লিগ্যাল প্রোটেকশন (সেলপ্) কর্মসূচি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্র্যকে বড় কারণ বলা হলেও জরিপে উঠে এসেছে ধনী ও মধ্যবিত্ত পরিবারেও বাল্যবিবাহের হার ৫০ শতাংশের ওপরে। বাল্যবিবাহ দেওয়ার পেছনে ৪৪ শতাংশ পরিবার বলেছে, ‘উপযুক্ত’ পাত্র পাওয়া, ১৮ শতাংশ দারিদ্র্যের কথা বলেছে, ১০ শতাংশ বলেছে বরপক্ষের যৌতুকের চাহিদা নেই বা কম, মাত্র ৭ শতাংশ সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ও ৬ শতাংশ মেয়ে পড়াশোনায় ভালো না বলে জানিয়েছে।
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুসারে, ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ে ও ২১ বছরের কম বয়সী ছেলে বিয়ের জন্য অপ্রাপ্তবয়স্ক। বাল্যবিবাহ করা, সম্পাদন ও পরিচালনার জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
বিবিএসের ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩-এর গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বাল্যবিবাহের হার প্রায় ৪২ শতাংশ; যা ২০২২ সালের তুলনায় ১ শতাংশ ও ২০২১ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। ১৫ বছরের কম বয়সীদের বাল্যবিবাহের হার ৮ শতাংশ।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (বিডিএইচএস) ২০২২ প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বাল্যবিবাহের হার ৫০ শতাংশ।
আগে বাল্যবিবাহের পেছনে দারিদ্র্যকে প্রধানত দায়ী করা হতো। কিন্তু এখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দিনকাল ভালো না, স্মার্টফোনের কারণে ছেলেমেয়ে ‘নষ্ট’ হয়ে যাচ্ছে—এমন সব অজুহাতে মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে।মো. কামরুজ্জামান খান, যুগ্ম পরিচালক, টিএমএসএস
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারের যেসব ব্যবস্থা আছে, সেগুলোকে সক্রিয় করলেই সাফল্য আসবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও হোঁচট খেতে হচ্ছে বাল্যবিবাহের কারণে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। মা-বাবাকে বোঝাতে হবে বাল্যবিবাহ না দিয়ে মেয়েটিকে পড়াশোনা শিখিয়ে স্বনির্ভর করে কীভাবে ভবিষ্যতের ভালো নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যায়।
আগে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে-এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে বাল্যবিবাহ ঠেকানো মেয়েটি বলছিলেন, ‘বিয়ে পরে করব। আগে পড়াশোনা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই; যাতে সংসারে কোনো ঝামেলা হলে মা-বাবার বোঝা না হই।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন আনোয়ার পারভেজ, বগুড়া]