আইন ও বিধিমালা মেনে পরিচালিত রেস্তোরাঁ ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।
বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ আইন এবং বিধিমালা মেনে পরিচালিত রেস্তোরাঁ ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে ও রেস্তোরাঁর কোনো স্থাপনা না ভাঙতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ আইন এবং ২০১৬ সালের বিধিমালা মেনে পরিচালিত রেস্তোরাঁ ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে রিটটি করা হয়।
বাণিজ্যসচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, বেইলি রোডের ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর কিছু সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ আইন অনুসরণ না করে নির্বিচারে রেস্তোরাঁ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। আইন মেনে চলা ও অনুমতিপ্রাপ্ত রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দেওয়া হচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাবে এবং অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। কেননা, খাদ্যশিল্প তথা রেস্তোরাঁ ব্যবসা বৃহৎ একটি শিল্প। এখান থেকে সরকার ২২ হাজার কোটি রাজস্ব পায়। এ শিল্পে ৪৫ লাখ লোক সরাসরি কর্মরত। আইন ও বিধি মেনে চলা রেস্তোরাঁ ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন। ১০ দিনের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।