। ছবি জুয়েল শীলপণ্য নেওয়ার ব্যাগ মাথায় দাঁড়িয়েছেন কেউ। কেউ আবার গাছের নিচে ছায়ায় বসে আছেন। দুই ঘণ্টার বেশি সময় সারিতে অপেক্ষা করতে করতে কেউ কেউ বসে গল্প করছেন। চট্টগ্রাম নগরের দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রির স্থানের চিত্র এটি।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, নারী ও পুরুষের আলাদা দুটি সারিতে অন্তত ৮০ জন পণ্যের অপেক্ষায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারি দীর্ঘ হচ্ছে।
ভর্তুকি মূল্যে সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল পেতে এই অপেক্ষা। জুলাই মাসে অবশ্য চালও যুক্ত হয়েছে এতে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কথা হয় রিকশাচালক মনির উদ্দিনের সঙ্গে। নগরের ছোটপুল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন স্ত্রী ও ছয় সন্তানকে নিয়ে। পণ্য নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন তিনি। বললেন, রিকশা চালিয়ে যা আয় হয়, তাতে পরিবারের ব্যয় সামলানো কঠিন। তাই তিনি ভর্তুকি মূল্যে পণ্যের জন্য সকাল ১০টা থেকে অপেক্ষায় ছিলেন।
একজন কার্ডধারী ১০০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল ও ৬০ টাকা দরে দুই কেজি মসুর ডালের পাশাপাশি ৩০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারেন। সব মিলিয়ে একজন ভোক্তার মোট খরচ পড়বে ৪৭০ টাকা। স্থানীয় বাজারমূল্যের তুলনায় যা অন্তত ৩৮০ টাকা কম।
গরমে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে মাটিতে বসে পড়েছেন ষাটোর্ধ্ব জোবেদা বেগম। সকাল ১০টা থেকে সারিতে দাঁড়িয়েছেন তিনি। বললেন, চার সন্তানের মধ্যে দুই সন্তান খরচ দেন তাঁর। পণ্য পাওয়ার কার্ড করে দিয়েছেন এক ছেলে। তা দিয়েই চলছে দিন। বেলা দেড়টার দিকে পণ্য বুঝে পেয়েছেন জোবেদা বেগম।
জোবেদা, মনিরের মতো ৬০০ ভোক্তার কাছে পণ্য বিক্রি করা হয় এই স্থানে। টিসিবির পরিবেশক নবীদুল আলম বলেন, ৬০০ কার্ডধারীর কাছে পণ্য বিক্রি করছেন। বিক্রয়ের স্থানটি রোদ থেকে আড়ালে। তবে সারি মূল সড়ক পর্যন্ত চলে যায়। তখন রোদের তাপ সহ্য না করতে পেরে ভোক্তারা ছায়ায় বসেন। তাই দ্রুত পণ্য দেওয়ার চেষ্টা করেন।
একজন কার্ডধারী ১০০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন ও ৬০ টাকা দরে দুই কেজি মসুর ডালের পাশাপাশি ৩০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারেন। সব মিলিয়ে একজন ভোক্তার মোট খরচ পড়বে ৪৭০ টাকা। স্থানীয় বাজারমূল্যের তুলনায় যা অন্তত ৩৮০ টাকা কম।