ওটা ঠিক দিঘি নয়, বেশ বড়সড় একটা পুকুর। তার তিন পাশ ঘিরে নানান জাতের গাছপালা দাঁড়িয়ে জটলা করে। শিরীষ, সেগুন, আকাশমণি, নিম, আম, কাঁঠালের ভিড়ে কয়েকটা কলার ঝাড় দুর্বল প্রতিবেশীর মতো ভয়ে ভয়ে একটু একটু করে বেড়ে ওঠে। কখনো কালবৈশাখীর মারমুখী বাতাসের তাড়সে তাদের পর্দার মতো সবুজ পোশাক ছিঁড়ে ফালা ফালা হয়ে ঝালরের মতো হয়ে যায়। ঘনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়ানো গাছগুলোর পাতার জটলার মধ্যে কখনো ঢুকে পড়ে উদাসী হাওয়ার একটা ঢেউ, তাদের মধ্যে ফিসফিস করে কিছু কথা হয়, তারপর চলে যায়। কিছু সময় পর আরেকটা ঢেউ এলে সেগুনের বড় পাতাগুলো শনশন শব্দ তুলে হাতপাখার মতো দুলতে থাকে। পুকুরটির শরিক অনেক, তাই দুটো শানবাঁধানো ঘাট দুই কোণে, আর বড় শরিকদের তৃতীয় ঘাটটি পশ্চিমের মাঝবরাবর। সব কটি ঘাটের ওপরের ধাপের চাতালের দুপাশে সিমেন্টের বেঞ্চি, সেখানে বিকেল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে যাওয়া পর্যন্ত চারপাশের বাড়ির নানান বয়সী ছেলেরা আড্ডা দেয়।
ছোট দুই ঘাটের একটিতে দক্ষিণ বাড়ির কাজের মেয়েরা কাপড় কাচে, হাঁড়িবাসন ধোয়, কখনো দুপুরবেলায় চট করে কয়েকটা ডুব দিয়ে ভেজা কাপড় সামলে ধোয়া জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ির দিকে ছোটে। বড় শরিকদের ঘাটে মেয়েরা আসে না, ওদের ঘরে ঘরে গোসলখানা আছে, সেখানে পাম্পে তোলা পানির কলে গোসল সারে মেয়েরা। কখনো বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসা মেয়েদের কয়েকজন সন্ধ্যার পর পুকুরে নেমে শৈশবের স্মৃতি হাতড়ায়। বাড়ির ছেলেরা পুকুরেই গোসলে নেমে দাপাদাপি করে, পানি তোলপাড় করে সাঁতরে চলে যায় উল্টো পাড়ে, সেখানে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়ে আবার এপাড়ে ফিরে এসে হাঁপায়। মুরব্বিদের কেউ ঘাটে এলে ছেলেছোকরার দল একটু গভীর জলে নেমে গা ডুবিয়ে রেখে গোসলের কসরত করে। ওদের মধ্যে বড়রা মাঝপুকুরে গিয়ে নানান কায়দা দেখায়, ডুবসাঁতারে গিয়ে আচমকা ভুশ করে ভেসে ওঠে অনির্দিষ্ট কোনো এক দিকে। ওদের এই জলক্রীড়ানৈপুণ্য পূর্ণ মাত্রা পায় উত্তর–পূর্ব দিকের ঘাটে বিশেষ একজন তরুণীকে দেখা গেলে। এপাড় থেকে মেয়েটির চেহারা বোঝা না গেলেও ওরা জানে কে সে। সেই ঘাটটা প্রায় সারা দিনই মাথার ওপরের বিশাল শিরীষগাছের ঘন ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকে। একটিমাত্র বাড়ির ঘাট বলে বারোয়ারি ঘাটের মতো বেশি ব্যবহৃত হয় না ওটা।
ভরদুপুরে কিশোর বয়সী ছেলের দল যখন চোখ লাল করে উঠে এসে গা মুছে বাড়িমুখো হয়, বড়দের দলটি এসে ঘাটের দখল নেয়। দু–একজন ছাড়া ওরাও একে একে চলে যায়, এ সময় ছায়াঢাকা ঘাটটির সিমেন্টের বেঞ্চিতে এসে বসে মেয়েটি। এপাড়ের ঘাটে নাইতে আসা যে দু–একজন তখনো জলের মধ্যে মাছের মতো সাঁতরে বেড়ায়, তাদের মধ্যে একজন মেয়েটিকে দেখে তৎপর হয়, সাবলীল সাঁতারে প্রায় নিঃশব্দে জল কেটে মাঝবরাবর চলে যায়, তারপর আচমকা ডুব দেয়। মেয়েটি নিশ্বাস বন্ধ করে ডুব দেওয়ার জায়গাটার দিকে তাকিয়ে থাকে, তারপর জলের ওপর এদিক-সেদিক দেখে, অস্বাভাবিক দীর্ঘ সময় পর অনেক দূরের কোনো এক জায়গার জল তোলপাড় করে হুশ করে ঘাই দেওয়া মাছের মতো লাফিয়ে উঠে আসে। বুকের মধ্যে চেপে রাখা নিশ্বাস ছাড়ে মেয়েটি। ছেলেটির সঙ্গীরা হইহই করে ওঠে। এত দূর থেকে মেয়েটির অভিব্যক্তি ঠাওর করতে পারে না ওরা।
এমন গা ছমছম করা দুপুরে মেয়েটি একসময় পানিতে নামে কখনো, ওর সঙ্গে কেউ থাকে, কখনো একাই আসে। গলা পর্যন্ত ডুবে কেবল মুখখানা জাগিয়ে রেখে কোনোরকমে গা ধোয়, ছোট ছোট ডুব দিয়ে উঠেই জলের কাছের ঘাটের সিঁড়ির ওপর রাখা গামছা দিয়ে শরীর ঢেকে বাড়ির দিকে রওনা হয়। ও জানে ডুবুরিটি ওর গমনপথের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর সঙ্গীরা এখন ওকে কিছুক্ষণ ধরে খ্যাপাবে।
এ রকম সুনসান দুপুরবেলা পুকুরঘাটটা কী এক আকর্ষণে টানে মেয়েটাকে, চৈত্র–বৈশাখ মাসের হিংস্র দুপুরগুলোতে গাঢ় ছায়ার নিচে ঘাটে গেলে শরীরটা ঠান্ডা হয়ে যায়। সে সময় কখনো পশ্চিমের ঘাটেও কাউকে দেখা যায় না। আবার কখনো একা ডুবুরি ছেলেটিকে দেখা যায়। ও ঘাটে গেলেই কিছুক্ষণ দাপাদাপি করে ডুব দেয়, তারপর একসময় দূরের শান্ত জলের তলা থেকে ভেসে ওঠে।
হালিমা ফুফুর জন্যি বাড়ির অত পুরানা তালগাছডা কাইটে ফেলাইল আমার দাদাজান। ফুফুরে চিনো নাই? ব্যাটাগের মতো শাড়িখান গাছকোমর কইরে বাঁইধে ঝগড়া করতি নামত। ভয়ডর ছিল কম, রাইতে বিরাতে হেরিক্যান হাতে এবাড়ি–সেবাড়ি ঘুইরে বেড়াত। একবার হালিমা ফুপু গাছের নিচ দে বাড়ি যাচ্ছিল। কোয়ান থে আইসিল কে জানে?
পরদিন মেয়েটি কলেজে গেলে ছেলেটির ফোন আসে।
তুমি এই ভরদুপুরে একলা পুকুরে আসো ক্যান? আমাগের বাড়ির খবর জানো না তুমি?
ইশ্, তোমাগের একলার পুকুর! আমাগের হিস্যা নাই? উত্তর পাড়ে আমার আব্বা এমনি এমনি নতুন পাকা ঘাট বানায়ে দিল? তোমাগের পুকুর হলি আমাগের ঘাট বানাতে দিত তোমার দাদাজান? আমাগের ঘাটে আমরা আসব না?
আমাগের একলার পুকুর কহন কলাম? ঝগড়া করার জন্য জিব শুলোচ্ছে তোমার? কলাম, এই দুপুরবেলায় একলা ঘাটে আসো ক্যান। তুমি হিস্যা, পাকা ঘাট ইসব কথা কয়ে ফোঁস কইরে উঠলা।
ঝগড়া তো তুমি শুরু করিছ। আচ্ছা কী কচ্ছিলে?
ছেলেটি বলে, পুকুরে আসবা না ক্যান, মানা করিছি? আমাগের পশ্চিমের ঘাটে ছাওয়াল-পাওয়াল সারা দিন থাহে। তোমারে ঘাটে দেখলি পর নানান রঙ্গ করে, আমার মেজাজ খারাপ অয়।
ওসব আমার সহ্য অয়ে গেছে, মাইয়ে মানুষ দেখলি বিটাছাওয়ালগের রস অমন উথলায়ে পড়ে।
তোমাগের ঘাটের মাথার ওপর বড় গাছগুলান দুপুরবেলা কী সুন্দর ছাওয়া দেয়, শরীর জুড়োয়ে যায়।
মেয়েটি বলে, আরে এ জন্যিই তো আসি। কী ঠান্ডা শেতল।
ও, এ জন্যিই আসো? আমি ভাবলাম আমারে দেহার জন্যি আসো।
মেয়েটি হি হি করে হাসে, বলে, আমারে দেখলি তো তুমি ডুব দাও। দেখার ইচ্ছা থাকলে কেউ ডুব দেয়? শিরীষগাছটার ঠান্ডা ছাওয়া? ওটার জন্যি বেশি আসি।
ঠিক আছে আসবা, কলাম, এই ভরদুপুরে আসো ক্যান? জানো না? ঠিক দুক্কুরবেলা, ভূতে মারে ঢেলা।
মেয়েটি খিলখিল করে হাসে, আমারে মারবে না নে।
না মারলিও ধরতি পারে। ধরলে বুঝবে নে। সোন্দর মাইয়ে মানুষ ওগের খুব পছন্দ।
আমি সোন্দর কচ্ছ?
আমি কচ্ছিনে। পাড়ার লোকে কয়।
পাড়ার লোকে কয় আমায় ভূতে ধরিসে, গানডা শুইনে কচ্ছ?
আমি বললি পর তো বিশ্বাস যাবা না।
জানি, কেষ্ট ঠাউর। পয়লা জিনে ধরল তোমাগের বাড়ির সুফিয়া বুবুরে। শুনিছি সে মাদ্রাসার বড় হুজুররে ম্যালা হাঙ্গামা কইরে সেই জিন ছাড়াতে হয়েছিল। তোমার ফুফু মারা যাওয়ার পর তোমার ফুফা বিয়া কইরে যারে আনল, তার কথাও শুনিছি। তোমার বড় খালা তারে দেইখে কলো, হারামজাদি চেহেল কাফ পড়িসিল মনে অয়। ইকথা কওয়ার পর তোমার ফুফু খালার ওপর লাফ দিয়ে পইড়ে হি হি কইরে কী হাসি! বুকের রক্ত হিম অয়ে যায়। তারপর কলো, ঠিক ধরিছিস।
ছেলেটি বলে, ম্যালা হিস্টরি জানো দেহি। বড় খালা কয় চেহেল কাফ খুব গরম সুরা। তা না হলি ফুফু ঝাঁপায়ে পড়ল ক্যান?
মেয়েটি দমে না, বলে, আরও জানি, কবো?
কও দি?
হারুন ডাক্তারের খালা মাজার থেইকে আইসে ছড়া বাইন্দে গান গায়, জিঞ্জিল মারো জিঞ্জিল মারো...। গ্রামের ছাওয়াল-পাওয়াল তার পিছে মিছিল কইরে দৌড়ায়।
হালিমা ফুফুর জন্যি বাড়ির অত পুরানা তালগাছডা কাইটে ফেলাইল আমার দাদাজান। ফুফুরে চিনো নাই? ব্যাটাগের মতো শাড়িখান গাছকোমর কইরে বাঁইধে ঝগড়া করতি নামত। ভয়ডর ছিল কম, রাইতে বিরাতে হেরিক্যান হাতে এবাড়ি–সেবাড়ি ঘুইরে বেড়াত। একবার হালিমা ফুপু গাছের নিচ দে বাড়ি যাচ্ছিল। কোয়ান থে আইসিল কে জানে? তালগাছডা পার হওয়ার সময় মনে অলো, মুখের ওপর মাকড়সার জালের মতো কী জানি একটা আটকায়ে গেল। ফুফু মুখ মোছে, যায় না, সাবান মাইখে মুখ ধোয়, যায় না। সব সময় মনে হচ্ছে, মুখে কী জানি একটা জালের মতন লেপটায় আছে। আমার মা শুইনে কয়, ব্যাটাছেলেগের মতো ঘুরলি তো ইরাম অবে। বুঝতিই পারো, ভাবিরা ননদগের সাতে কিরাম করে। আমার মা-ও তার ননদের সাতে ওরাম করত। আর আমার ফুফুও তো ননদ না, ব্যাটা ছাওয়ালের মতো। দাদাজান অত কিছু বুঝতেন না। আমার মা বুঝোয়ে কওয়ার পর দাদাজান বড় মসজিদের ইমাম সাবরে ডাইকে বহুত ঝামেলা কইরে ঝাড়ফুঁক দিয়ে মুখ থেইকে মাকড়সার জাল সরায়ে ফুফুরে বাঁচায়।
বাঁচায় কচ্ছ ক্যান?
না বাঁচালি অই মাকড়সার জালেই ফুফুরে খায়ে নিত।
মেয়েটি এবার কথা ঘোরায়। বলে, শোনো কেষ্ট ঠাউর, তোমার সাথে নাদের ডাক্তারের মাইয়ে সাকিরে নিয়ে শুনতিসি অনেক কথা। কও দি কী ঘটনা?
কী আর ঘটনা? ঘটনা তো তোমার মনের মধ্যি। সন্দেহ করো খালি।
করব না কচ্ছ? কলেজে গেলি তো শুনতি পাই।
শুনতি থাকো। যত শুনবা, বুঝতি পারবা তত বিখ্যাত। পত্রিকায় দেখবা ফিলিম স্টার আর নায়িকার মধ্যি ইটিশ-পিটিশ। যত বড় স্টার, গুজব তত বেশি। এত গুজব শুইনে মনে হয় আমিও অ্যাহন স্টার। বুঝতি পারিসো?
ফাইজলামি করবা না। তোমার স্টার হওয়া ছুটোচ্ছি আমি।
আচ্ছা, করব না।
অ্যাহন কও দি, আয়েশা-মাইশা দুই বোন কাইলে ভূত, ওগের সাথেও তোমার কথা শুনি। ঘটনা কী কও দি?
ঘটনা কী অবে? নিজেই স্বীকার করলা, কাইলে ভূত, মামলা তো এহানেই শেষ। আমার পিছে লাইগে থাকলে সেডাও আমার দোষ?
শোনো কেষ্ট ঠাউর, সব নৌকায় পা রাইখো না। ঝপাৎ কইরে পানিতে পড়বা। তোমার সাঁতার কাজে আসবে না নে।
ছেলেটি হো হো করে হাসে। বলে, আমার নৌকা তো একটাই। পানিতে পড়লি ডুবসাঁতারে পৌঁছায়ে যাব তোমার কাছে।
মেয়েটি বলে, কথা ঘুরোচ্ছ ক্যান?
কথা ঘুরোচ্ছি কই? আসলে আমার বহুদিনের ইচ্ছে তুমি পানিতে নামলি পর ডুবসাঁতারে যায়ে পানির তলা দিয়ে তোমারে ধরব।
মেয়েটি বলে, ও, তুমি এ জন্যিই রোজ পানির মধ্যি দাপাদাপি করো? খবরদার, কেলেঙ্কারি অয়ে যাবেনে।
ছেলেটি হাসে, গানটা শোনোনি বুঝি? ওই যে একটা গান আছে না? ‘তোমার প্রেমে হব সবার কলঙ্কভাগী।’
মেয়েটি হি হি করে হাসে, ‘তাহলি তো ভালোই অয়, তুমি কলঙ্কভাগী হবা, আর আমারে ধইরে কারো সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেবেনে।’
কেউ কারও মুখ দেখতে পায় না ওরা, কেবল দীর্ঘশ্বাসের মতো ভেসে আসে সব কথা। পুকুরের দুই পাড়ের ঘাটের মধ্যকার দূরত্বের মতো ওদের ভেতরের ব্যবধান ঘোচে না।
একদিন এক ভরদুপুরে ময়লা কাপড়ের মতো মেঘ ঢেকে রেখেছিল গোটা আকাশ আর সূর্যের মুখ। বড় ঘাটের দর্শনার্থীরা একে একে প্রায় সবাই উঠে গেছে। বাকি কজনও যাওয়ার পথে। ছেলেটি লুঙ্গি–গামছা ঘাটের বেঞ্চিতে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আলোড়িত জলের একটা তোলপাড় ঢেউ হয়ে চারপাশে বৃত্ত তৈরি করে ছড়িয়ে যায়। ওপাড়ের ঘাটে মেয়েটির মুখ তখনো জলের ওপর লাল শাপলার মতো ভাসছে। ছেলেটি সাঁতরে মাঝবরাবর চলে যায়, তারপর দম টেনে নিয়ে ডুব দেয়। কিছু দূরে গিয়ে ভেসে উঠে উত্তর পাড়ের ঘাটটির দিকে তাকায়। জল থেকে উঠে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল মেয়েটি। আবার দীর্ঘ দম নিয়ে ডুব দেয় ছেলেটি। ততক্ষণে মেয়েটি উঠে পড়েছে, গামছা দিয়ে গা ঢেকে পুকুরের প্রায় শান্ত জলের দিকে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। অস্বাভাবিক দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যায়, ঘাঁই মেরে ওটা মাছের মতো উঠে আসে না ছেলেটি। অধৈর্য মেয়েটির চোখ সারা পুকুরের জলের ওপর ঘুরে বেড়াতে থাকে, হালকা হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপা জলের পিঠও এখন আশ্চর্য রকম স্থির। এতক্ষণ জলের নিচে থাকা কোনো মানুষের পক্ষে অসম্ভব। শরীরে কাঁপুনি ধরে ওর, সেটি ভেজা কাপড়ের ঠান্ডায়, নাকি কোনো এক অজানা আশঙ্কায়, বুঝতে পারে না ও। আর্তনাদের মতো অস্ফুট চিৎকার করে বাড়ির দিকে ছুটতে থাকে মেয়েটি।
লেখক: কথাসাহিত্যিক