বিচারিক আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে সরকারের দুজন সচিবসহ পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী আইনি নোটিশটি দিয়েছেন। তাঁদের পক্ষে আজ সোমবার আইনি নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আইনসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, দেশের আইনে কাঠগড়ায় লোহার খাঁচার ব্যবহার নিয়ে কোনো বিধান নেই। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রকাশ্য আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দী করে তাঁর ‘প্রিঅ্যাজামশন অব ইনোসেন্স’ (নির্দোষ হতে পারেন, এমন ধারণা) ভঙ্গ করা হচ্ছে, যা একই সঙ্গে দেশের প্রচলিত আইন ও আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের পরিপন্থী।
আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, দেশি-বিদেশি আইন, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ও উচ্চ আদালতের নজির পর্যালোচনায় দেখা যায়, আদালতে কাঠগড়ার পরিবর্তে লোহার খাঁচার ব্যবহার অমানবিক। বিষয়টি বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদসহ আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের পরিপন্থী। মানুষের স্বাভাবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আদালতে লোহার খাঁচার অপসারণ একান্ত প্রয়োজন।
নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে, তা না হলে হাইকোর্টে রিট করে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে।