ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মানুষের ঈদযাত্রায় সড়কে নিহত হয়েছেন ২৩০ জন। আহত হয়েছেন ৩০১ জন। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ২৩৫টি।
এই তথ্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)। ১১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বনানীতে বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এসব তথ্য জানান।
দুর্ঘটনার জন্য বিআরটিএ বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো; বেপরোয়া গতিতে মোটরযান চালানো; ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে মোটরযান চালানো; ঝুঁকিপূর্ণভাবে ওভারটেকিং করা; পথচারীর অসাবধানতা এবং যত্রতত্র রাস্তা পারাপার করা; চালকের অসাবধানতায় যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা; মহাসড়কে থ্রি–হুইলারসহ অন্যান্য অবৈধ বাহন চলাচল; মোটরযান চালকদের ট্রাফিক আইন না মানা ; চালকের ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং ইত্যাদি মেনে না চলা এবং পাশের সড়ক থেকে মহাসড়কে ওঠার সময় চালকের অসাবধানতা।
বিআরটিএর তথ্য অনুসারে, ঈদযাত্রায় ঢাকা বিভাগে ৬০টি দুর্ঘটনায় ৫৮ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৪১টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ১২০ জন আহত হয়েছেন। রাজশাহীতে ৪২টি দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত এবং ৭ জন আহত হন। খুলনা বিভাগে ২৮টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২০টি। এই বিভাগে নিহত হয়েছেন ২৬ জন ও আহত ৩০ জন। সিলেট বিভাগে ৭টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে ২২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।