অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধায় সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়ার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ দুপুর ১২টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তা মুখঘাট পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৬৮ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে।
আজ দুপুর ১২টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার, ঘাঘটের ১০৮ সেন্টিমিটার, করতোয়ার ৩৩৩ সেন্টিমিটার ও তিস্তার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অপর দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ দশমিক ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পানি বাড়লেও আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক। তিনি মুঠোফোনে বলেন, উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সব নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।
অপর দিকে পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর তীরবর্তী গাইবান্ধার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষত সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারী, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে।