ঢাকা–১৭ আসনে উপনির্বাচন

প্রার্থীকে মারধর, ভোটারও কম

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে মারধর, নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। ভোটে জয়ী নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ভোট পড়ার হার ১১.৫১%।

ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে কিল–ঘুষি মারছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা। গতকাল বেলা সোয়া তিনটায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে
ছবি: সংগৃহীত

ভোট দিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা সকাল থেকেই বেশ কম ছিল। কোনো কোনো কেন্দ্রে দেড় ঘণ্টায় একটি ভোটও পড়েনি। তবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকদের জটলা ছিল। শান্তিপূর্ণ ভোটে হঠাৎ উত্তাপ ছড়ায় আলোচিত প্রার্থী আশরাফুল হোসেনের (হিরো আলম) ওপর হামলার ঘটনাটি।

ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে বনানীর একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে হিরো আলমকে মারধর করেন নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী কিছু যুবক। মারধরের পর হিরো আলমকে ধাওয়া দিয়ে এলাকাছাড়া করেন হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলের আশপাশে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য উপস্থিত থাকলেও তাঁরা ছিলেন ‘দর্শকের’ ভূমিকায়।

গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটারদের অনাগ্রহকে ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত আলোচনার জন্ম দেয় হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনাটি। এমন সময়ে এই হামলার ঘটনাটি ঘটল, যখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক্‌-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল ঢাকা সফর করছে। তারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে হওয়ার কথা রয়েছে) পরিবেশ এবং নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য এসেছে।

গতকালের উপনির্বাচনে হিরো আলমের ওপর হামলার আগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেকুল ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন তিনি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস আগে অনুষ্ঠিত এই উপনির্বাচনে ভোট হয়েছে কাগজের ব্যালটে। রাজধানীর গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে। মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৬০৫টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রথম আলোর চারজন প্রতিবেদক ও দুজন ফটোসাংবাদিক গতকাল সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত (বিকেল ৪টা পর্যন্ত) ৩৩টি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরেই নৌকার ব্যাজধারীদের জটলা ছিল দিনভর। অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোটারদের কোনো লাইন ছিল না। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা অলস সময় কাটান। হঠাৎ দু-একজন ভোটার এসেছেন। বিশেষ করে, নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অনেকে হতাশা প্রকাশ করেন।

গতকাল রাত নয়টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এই উপনির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৮ ভোট। এই উপনির্বাচনে ভোট পড়ার হার ১১ দশশিক ৫১ শতাংশ।

ভোটারের জন্য দিনভর অপেক্ষা

ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আটজন প্রার্থী। বিএনপি এই উপনির্বাচনে অংশ নেয়নি। জাতীয় নির্বাচনের ছয় মাস আগে এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীর শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় শুরু থেকেই এই উপনির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ কম ছিল। গতকাল ভোটের দিন ভোটারদের এই অনাগ্রহ আরও স্পষ্ট হয়।

সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা—এই সাড়ে চার ঘণ্টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজ ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের তিনটি কেন্দ্রে ভোট পড়ে মাত্র ১৩৯টি। এসব কেন্দ্রে মোট নারী ভোটার ৭ হাজার ৮২৮ জন। অর্থাৎ সাড়ে চার ঘণ্টায় ভোট পড়ে ২ শতাংশের কম।

বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুলের উত্তর পাশের ভবনের নিচতলায় নারী ভোটারদের ৭২ নম্বর কেন্দ্র। কেন্দ্রটির ১ থেকে ৫ নম্বর বুথে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে যথাক্রমে ৭, ১০, ৫, ৩ ও ৪টি ভোট পড়ে।

৫ নম্বর বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, ‘নারী ভোটার একদম কম আসতেছেন। এর কারণ কী, বুঝতে পারছি না।’

সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর মানিকদী এলাকায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আদর্শ বিদ্যানিকেতন কেন্দ্র যান প্রথম আলোর একজন প্রতিবেদক। ওই বিদ্যানিকেতনে মোট চারটি কেন্দ্র ছিল। নারী ভোটকেন্দ্র দুটি ও পুরুষ কেন্দ্র দুটি। ভোটকক্ষ ছিল ২২টি। এই চার কেন্দ্রে মোট ভোটার ১১ হাজার ৯৭০ জন।

ভোট শুরুর পর প্রথম চার ঘণ্টায় ওই চার কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৯৫৩টি। ভোট পড়ার হার ছিল ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে এই চার কেন্দ্র থেকে তথ্য নিয়ে দেখা যায়, মোট ভোট পড়েছে ১ হাজার ৭২২টি। ভোটের হার ১৪ শতাংশ।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আদর্শ বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দেন মোহাম্মদ আলী ও মোসাম্মৎ হোসনে আরা দম্পতি। দুজনই ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। হোসনে আরা বলেন, ‘কোনো ঝামেলা ছাড়াই ব্যালটে ভোট দিয়েছি। ভোটার কম থাকায় লাইনেও দাঁড়াতে হয়নি।’

নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা আশা করেছিলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি।

ভাষানটেক এলাকার সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের একটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাসুদ করিম প্রথম আলোকে বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম। এলাকায় কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা বেশি। তাঁদের অনেকেই কাজে চলে গেছেন। উপনির্বাচন হওয়ায় মানুষের আগ্রহও কম।

গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি কেন্দ্রে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অল্প দিনের মেয়াদ হওয়ায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কম থাকতে পারে। ভোটারদের ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করাকেই বড় চ্যালেঞ্জ।’

সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। বিএনপির সংসদ সদস্যদের ছেড়ে দেওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি। এসব আসনে গড়ে ভোট পড়ে ২৮ শতাংশ। এর আগে কে এম নূরুল হুদা কমিশনের সময় ২০২০ সালের মার্চে ঢাকা-১০ উপনির্বাচনে ইভিএমে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল।

নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারীদের প্রবেশ, বাড়ল ভোট

নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আরাফাত গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের যে কেন্দ্রে (৬৩ নম্বর) ভোট দেন, ওই কেন্দ্রে সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটের হার ছিল শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ। দুপুর পৌনে ১২টায় তা দাঁড়ায় ৩ শতাংশে। বেলা দুইটার পর নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারীরা কেন্দ্রে প্রবেশে করেন। এরপর বেলা সোয়া তিনটায় দেখা যায়, সেখানে ভোট গ্রহণের হার বেড়ে ১০ শতাংশ হয়েছে।

গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে মোট পাঁচটি কেন্দ্র। নৌকার ব্যাজধারী যেসব ব্যক্তি সকাল থেকে গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে অবস্থান করছিলেন, তাঁরা কেন্দ্রে প্রবেশ শুরু করেন বেলা দুইটার পর থেকে। তিন থেকে চারজনের দলে ভাগ হয়ে এসব ব্যক্তি কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। ভোট দিয়ে তাঁরা ফিরে যান। এরপর এসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের হার বাড়ে।

গুলশান থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস কবির ৬৩ নম্বর কেন্দ্রে দলটির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন। কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারীদের প্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কোথায় না হয়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তো এটা হয়।’

হিরো আলমের ওপর হামলা

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম গতকাল বেলা সোয়া তিনটার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি একটি নারী ভোটকেন্দ্রে যান। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকেরা পেছন থেকে তাঁর উদ্দেশে গালিগালাজ করতে থাকেন এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়া যান। তখনো পিছু নেন তাঁরা। স্কুলের প্রাঙ্গণ থেকে বেরোনোর পরে হিরো আলমের পাশে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন না।

স্কুল থেকে বের হয়ে ফটকের সামনে দিয়ে সোজা বনানী ১৬ নম্বর সড়কের দিকে দ্রুত এগোতে থাকেন হিরো আলম। এর একপর্যায়ে নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারীরা তাঁকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন এবং এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করেন।

হিরো আলমের সঙ্গীরা তাঁকে উদ্ধার করে সামনের দিকে নিয়ে যান। তবে ২৩ নম্বর সড়কের এ ব্লক পর্যন্ত হিরো আলমকে পেছন থেকে ধাওয়া করেন হামলাকারীরা। এ সময় তাঁদের একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘সে (হিরো আলম) করে টিকটক, সে হলো জোকার, সে কেন গুলশান-বনানীর এমপি হতে চায়। এমপির মানে সে জানে?’ কেউ আবার বলছিলেন, ‘তারে খালি দৌড়ানি দে, মারধর করা লাগব না।’

হিরো আলমের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে তাঁকে মারধর করা হয়নি। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাঁকে বের করে দিয়েছে। বাইরে তাঁর ওপর হামলা হয়েছে কি না, তা তাঁরা জানেন না। ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বগুড়ার ছেলে হিরো আলমকে নিয়েই আলোচনা ছিল।

হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ভোট গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। যদি তারা আমাদের দলের কর্মী হয়, তাহলে দলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি চাই সত্যটা উন্মোচিত হোক।’

হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ‘খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন সারা দিন খুব সুন্দরভাবে চলছিল, শেষ মুহূর্তে এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার প্রয়োজন ছিল বলে আমি মনে করি না।’

এদিকে হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার কে এন রায় নিয়তি গত রাতে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিকেলে হামলার পর গতকাল রাতে সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, ‘এই নির্বাচন মানি না, প্রত্যাখ্যান করেছি।’ হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, কতটা সুষ্ঠু বিচার পাবেন তিনি জানেন না। সকালে ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে হয়?

এই উপনির্বাচনের প্রচারপর্বেও হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৫ জুলাই মহাখালীর সাততলা বস্তিতে প্রচারণার সময় একদল নারী ও কিশোর তাঁর ওপর হামলা করেন।

ভোটে প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে গত সিটি নির্বাচনেও। ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন চলাকালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলা হয়। এতে তিনিসহ দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হন।

ইইউ প্রতিনিধিদলের সফরের মধ্যে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন কেমন হলো জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে, সেই বার্তাই পাওয়া গেল।