সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা, ৫০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে
সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা, ৫০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে চট্টগ্রামে স্কুলশিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা, ৫০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়া, প্রয়োজনে অটোপাস দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল প্রায় ৪টা পর্যন্ত শিক্ষা বোর্ড চত্বরে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নগরের ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল, সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরাইপাড়া সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয়, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় (বালক), চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। তারা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, প্রশ্নের ধারা ও মানবণ্টন সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রশ্নকাঠামো ও মানবণ্টন প্রকাশ করেছে।

অষ্টম ও নবম শ্রেণির অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেছে, বার্ষিক পরীক্ষার জন্য তাদের হাতে তিন মাসের কম সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন পদ্ধতির সিলেবাস শেষ করা সম্ভব নয়। সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দিতে হবে। পরীক্ষা নিতে হবে ১০০ নম্বরের পরিবর্ততে ৫০-এ।

পরিমার্জিত পদ্ধতি সম্পর্কে এনসিটিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রমের মোট নম্বর হবে ১০০। এর মধ্যে শিখনকালীন মূল্যায়নের গুরুত্ব হবে ৩০ শতাংশ এবং পরীক্ষার গুরুত্ব হবে ৭০ শতাংশ। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক জিপিএ নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবি হলো, শিখনকালীন মূল্যায়ন পদ্ধতি বাদ দিতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে তারা নম্বর তুলতে চায়।

এনসিটিবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিন বা ততোধিক বিষয়ে কোনো শিক্ষার্থী ‘ডি’ গ্রেড পেলে সে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। শিক্ষার্থীরা বলেছে, হঠাৎ করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২-এর আলোকে প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে এনসিটিবি। ওই পাঠ্যপুস্তকে পড়া বেশি। অনেকেই সিলেবাস শেষ করতে পারবে না। ফলে তিন বিষয়ে ‘ডি’ পেলেও যাতে অটোপাস দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির সিলেবাস প্রণয়নে শিক্ষা বোর্ড জড়িত নয়। বোর্ড শুধু এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের লিখিত দাবি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের আগ্রাবাদ কার্যালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।