চিত্রশিল্পে ভূমিকা, বিশেষ করে চিত্রাঙ্কনে শিশুদের আগ্রহ তৈরি ও তাদের সৃজনশীল মনোবিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার-২০২৩ পেলেন বাংলাদেশের চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক।
গত শনিবার কলকাতায় রথীন্দ্র মঞ্চ, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাবেক মন্ত্রী রেখা গোস্বামীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন মোস্তাফিজুল হক।
পুরস্কার গ্রহণের পর মোস্তাফিজুল হক দুই বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির অটুট সেতুবন্ধের কথা উল্লেখ করে আয়োজক ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সোসাইটি ও এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট’কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘দিন শেষে রংপেনসিল হাতে শিশুদের আঁকা শেখানোর মাধ্যমেই প্রকৃত সৃষ্টির আনন্দ খুঁজে পাই। এই স্বীকৃতি আমার মেধা ও কাজকে আরও শাণিত করে।’
মোস্তাফিজুল হক ১৯৭৫ থেকে দেশের কোমলমতি শিশুদের সৃজনশীল ও মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি অসংখ্য দেশি ও বিদেশি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর আঁকা ছবি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাপানের জুও-মাচি আর্ট মিউজিয়াম এবং অনেক শিল্পানুরাগীর সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে।
তৎকালীন ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে বিএফএ ও এমএফএ সম্পন্ন করেন এই শিল্পী। নব্বইয়ের দশকে জাপান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মনবুশো) বৃত্তি নিয়ে সেখানে চার বছর লেখাপড়া শেষে ফিরে এসে ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মোস্তাফিজুল হক।