ব্যাখ্যা চেয়ে সরকারের চিঠি: ফেসবুক ও ইউটিউব এখনো সাড়া দেয়নি

বাংলাদেশের আইন ও নিজেদের করা নীতি মেনে এ দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করবে কি না, সে বিষয়ে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল সরকার। টিকটক সেই চিঠির জবাব দিলেও ফেসবুক ও ইউটিউব এখনো কোনো সাড়া দেয়নি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনে আজ মঙ্গলবার জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা পর্যালোচনা–সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভা শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এ তথ্য জানিয়েছেন।

সরকার গত ২৭ জুলাই ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিটিআরসিতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে চিঠি দিয়েছিল। প্রতিমন্ত্রী গত রোববার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, গত এক মাসে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সহিংসতা ও গুজব ছড়িয়ে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো সরানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা যতটুকু সরিয়েছে, তা নগণ্য ও অগ্রহণযোগ্য। বাংলাদেশের আইন ও তাদের নিজেদের নীতি তারা নিজেরা মেনে বাংলাদেশে সাইবার জগৎ ব্যবহার করতে চায় কি না, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আজ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনো লিখিত বা মৌখিক কোনো ব্যাখ্যা তাঁরা পাননি। তবে টিকটক ই–মেইলে জবাব দিয়েছে যে তারা সরকারকে সহযোগিতা করতে আন্তরিক। টিকটক ব্যাখ্যা দিতে চায়। কিন্তু ফেসবুক ও ইউটিউব এখনো কোনো জবাব দেয়নি। আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে টিকটক, ফেসবুক ও ইউটিউবকে ডাকা হয়েছে। এখনো সময় আছে। সরকার অপেক্ষা করছে তাদের ব্যাখ্যার।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সংঘর্ষ শুরু হলে ১৭ জুলাই (বুধবার) রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব৶ডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ফিরলেও মোবাইল ইন্টারনেট ফিরেছে ২৮ জুলাই। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।

সাইবার হামলা প্রসঙ্গে জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, গত ১০ দিনে ৫০ হাজারের বেশিবার সাইবার হামলা হয়েছে। ৮টি ওয়েবসাইটকে ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কোনো সাইট ‘হ্যাকড’ হয়নি। সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ বা উপাত্ত চুরি হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, দেশের চারটি বড় খাত—ব্যাংক, তৈরি পোশাকশিল্প, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও টেলিযোগাযোগে বড় ধরনের সাইবার আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের ৩৫টি গুরুত্বপর্ণূ তথ্য পরিকাঠামোর মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে সাইবার নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট গাইডলাইন মেনে চলছে। বাকিরা প্রস্তুত হতে পারেনি।