ইয়েমেনে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার জিম্মিদশা থেকে বাংলাদেশি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামসহ জাতিসংঘের পাঁচ কর্মকর্তার মুক্ত হওয়ার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।
গতকাল শুক্রবার ইয়েমেনে জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়ক ডেভিড গ্রাসলি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি ইয়েমেন সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির দক্ষিণাঞ্চল থেকে জাতিসংঘের পাঁচ কর্মকর্তাকে আল-কায়েদার সদস্যরা অপহরণ করেছিলেন। সুফিউল আনাম ছাড়া বাকি চারজন ইয়েমেনের নাগরিক। সুফিউল আনামের মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ ডলার দাবি করেছিল জঙ্গি সংগঠনটি।
দেড় বছর পর আল-কায়েদার জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ৯ আগস্ট দেশে ফিরেছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল। তিনি সাংবাদিকদের কাছে জিম্মিদশার ‘ভয়াবহ’ বিবরণ দেন।
ইয়েমেনে জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়ক ডেভিড গ্রাসলি বাংলাদেশি সুফিউলসহ পাঁচজনের মুক্তি পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তিনি গতকাল জাতিসংঘের ইয়েমেনি চার কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য ঠিক আছে। মুকুল্লা থেকে তাঁদের নিয়ে এডেনে ফিরেছেন তিনি।
ডেভিড গ্রাসলি আরও বলেন, তাঁদের পাঁচ কর্মকর্তাই সংস্থার সব ধরনের সহায়তা পাচ্ছেন। তাঁরা ভালো আছেন এবং পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হয়েছে। তিনি পাঁচ কর্মকর্তার মুক্তিতে সহায়তার জন্য ইয়েমেন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়ক ডেভিড গ্রাসলি বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীরা মুক্ত হওয়ায় ইয়েমেনে জাতিসংঘের পুরো পরিবার স্বস্তি পেয়েছে। তবে এখনো জাতিসংঘের অন্য যে কর্মীদের তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটক রাখা হয়েছে, পুনরায় তাঁদের মুক্তির আহ্বান জানাই। আমরা তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।’