কামাল আহমেদ
কামাল আহমেদ

কামাল আহমেদের নেত্বত্বে ১১ সদস্যের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। সেখান বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন রয়েছে। আর বিষয়টি জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন অনুযায়ী ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা যেতে পারে।

কমিশনের সদস্য হিসেবে থাকছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, দ্য ডেইলি স্টারের বগুড়া প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের উপসম্পাদক টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন।

এই কমিশন অবিলম্বে তার কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সবার মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেবে। কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন, সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তাঁদের কেউ অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন। এই কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এই কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

প্রথমে সরকার নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করেছিল। এসব কমিশন ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে আরও চারটি কমিশনের প্রধানের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। বাকি তিনটি কমিশনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে থাকবেন জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, শ্রমিক অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে থাকবেন শিরীন পারভীন হক।