ঢাকার কমলাপুর স্টেশন এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আন্তনগর ট্রেন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ লাইনচ্যুত হয়। এতে আট ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র।
আজ শুক্রবার সকাল আটটার দিকে ট্রেনটি উদ্ধার হয়েছে। তাতে দিনের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে দুই ঘণ্টা দেরিতে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আরিফ মহিউদ্দিন আজ প্রথম আলোকে বলেন, এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দিনের শেষ ট্রেন ছিল। ট্রেনটি যেখানে লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেই স্থান পরিষ্কার করা হয়েছে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গতকাল রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে কমলাপুর থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’র পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। স্টেশনের কাছে আউটার ইউলুপে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেনটির গতি ধীরে থাকায় যাত্রী হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দীর্ঘ প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল প্রায় আটটার দিকে ট্রেনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
রেলের সূত্র জানায়, কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একাধিক লাইন থাকে। লাইনগুলো সাপের মতো এঁকেবেঁকে থাকে। এসব লাইন ধরে ট্রেনগুলোর গন্তব্যস্থলের দিকে এগোতে থাকে। এসব আঁকাবাঁকা লাইন দুটো লাইনে গিয়ে ঠেকে। এটি দিয়ে ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যায়, আরেকটি দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে। এই দুই লাইনের একটিতে, অর্থাৎ যেটি দিয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যায়, সেখানে লাইন ভাঙা পাওয়া গেছে। এখান দিয়ে ১৫টি মিনিট পর পর ট্রেন যায়। তাই ইচ্ছে করে কারও তা ভেঙে ফেলা সম্ভব নয়। আসলে এসব দেখভাল করার জন্য যাঁদের তদারকির দায়িত্ব আছেন, তাঁরা ভালোমতো তা দেখেননি।
ঢাকা রেলওয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জয়নাল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ট্রেন চলাচলের শিডিউলের বিপর্যয় হয়েছে। তবে সকালেই ট্রেন বাইরে থেকে ঢাকায় আসছে এবং ঢাকা থেকেও ছেড়ে যাচ্ছে।