অভিমত

দেশের অর্থনীতি কি আসলেই তলানিতে

অর্থনীতিবিদেরা অনেক কিছুই আগাম বলতে পারেন। কিন্তু অর্থনীতির কতটা উত্থান হবে বা তলানিতে যাবে, বলতে পারেন না। আমাদের অর্থনীতি এখনো শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো হয়নি। তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ‘তলানিতে’ বলা কতটা যৌক্তিক। সুদ বৃদ্ধির দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ না করাই দেশের অর্থনীতিকে এমন অবস্থায় এনেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর গত ৬ নভেম্বর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভায় বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। তাঁর মতে, আর তো নিচে নামার পথ নেই।

তিনি তাঁর ৩৬ বছরের সরকারি চাকরিজীবনে এর চেয়ে সংকটাপন্ন সময় আর দেখেননি। এরপরই তিনি যুক্তি দেখালেন, অর্থনীতি যেহেতু তলানিতে, তাই এর পরের ঘটনার অর্থই এই তলানি থেকে উত্থান। অনেকটা পদার্থবিদ্যার মতো শোনাচ্ছে—এ যেন ফুটবলের মাটিতে পতনের অর্থই আবার ঊর্ধ্বে ওঠা।

কিন্তু অর্থনীতির উত্থান-পতন তো ফুটবলের মতো যান্ত্রিক নয়। এখানে তলানিরও তল থাকে। গভর্নর নাকি টানেলের অন্য প্রান্তে আলো দেখতে পেয়েছেন। তাঁর দিব্যচক্ষুতে একক আলো-দর্শন অনেকটা আধ্যাত্মিক বাণীর মতো শোনাচ্ছে। এ যেন লালনের আখড়ায় শিক্ষালাভের প্রথম ধাপ, যেখানে গুরু সব দেখতে পান। শিষ্যরা কিছুই দেখে না।

বাণিজ্যচক্র ও পূর্বাভাসের দিব্যচক্ষু

অর্থনীতির বাণিজ্যচক্র এক অদ্ভুত বিষয়। এটি মূলত জিডিপির উত্থান-পতন দেখায়, যা অনেকটা সাগরের ঢেউয়ের মতো। শাস্ত্রীয় অর্থনীতির দুর্বলতা হলো, এটি বাণিজ্যচক্র দেখতে পায়নি। পরে ব্যাপ্তিক অর্থনীতিবিদ কিনস সামগ্রিক চাহিদা মোট জোগানের চেয়ে কমে গেলে কীভাবে মন্দা আসতে পারে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ জন্য তাঁকে ‘মন্দার অর্থনীতিবিদ’ও বলা হয়।

কিনসের ভাবশিষ্য পল স্যামুয়েলসন গুণক-ত্বরকের মিথস্ক্রিয়ায় কীভাবে বাণিজ্যচক্র ঘটতে পারে, তার একটি মডেল দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। বাস্তবে এর বাইরেও নানা কারণে বাণিজ্যচক্র ঘটতে পারে। যেমন কোভিড, প্লেগ, যুদ্ধ, বন্যা, খরা। ইয়েলের অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম নর্ডাউস এক রাজনৈতিক বাণিজ্যচক্রের সন্ধান দিয়েছেন।

সরকার ও অর্থনীতিবিদেরা অর্থনীতির ক্রমাগত উন্নয়নের চেষ্টা করেন। উন্নয়ন না হলেও জিডিপি অন্তত নামবে না। কিন্তু তার পরও নানা কারণে জিডিপির পথ ঢেউয়ের মতো নেমে যায়, এখানেই এটি অদ্ভুত। অর্থনীতিবিদেরা অনেক কিছুই আগে থেকে বলতে পারেন। কিন্তু ঢেউ যে কতখানি নিচে নামবে, তা বলতে পারেন না। এ জন্য ২০০৮-০৯ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকট শেষ হওয়ার পর ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে পল ক্রুগম্যান ‘কীভাবে অর্থনীতিবিদেরা এত ভুল করলেন’—নিউইয়র্ক টাইমস-এ তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

তাঁর মতে, একমাত্র নরিয়েল রুবিনি এবং রঘুরাম রাজনই বৈশ্বিক মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। ব্যর্থ হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ার অ্যালান গ্রিনস্পেনও। তিনি ২০০৬ সালেও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির মৌলিক উপাদানগুলো বেশ ভালো অবস্থায় আছে এবং সেখানে মন্দার কোনো লক্ষণ তিনি দেখেননি। এরপর মার্কিন অর্থনীতি যখন তলিয়ে গেল, তখন প্রবীণ গ্রিনস্পেনকে কংগ্রেসে এনে ইচ্ছেমতো জেরা করা হয়েছিল।

‘অর্থনীতি তলানিতে’ অর্থ কী

এ আলোচনা থেকে বোঝা যায়, অর্থনীতি কখন তলানিতে, যাকে বলে ট্রফ, আর কখন পরম উচ্চতায় বা পিকে আছে, তা বাণিজ্যচক্র বিশেষজ্ঞরাও বলতে সক্ষম নন। সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে ‘ট্রফ’-এ আছে—এমন মন্তব্য গভর্নর করলেন, কীভাবে বোঝা গেল না।

কোনো গবেষণা ছাড়া এমন মন্তব্য করা অন্ধের হাতি দর্শনের সমতুল্য। ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ (এনবিইআর) হচ্ছে এমন একটি বেসরকারি সংস্থা, যা মার্কিন অর্থনীতির বাণিজ্যচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ের স্বীকৃতি দেয়। তাদের কাছ থেকে দিন-তারিখ না পেলে খোদ প্রেসিডেন্টও বলতে পারেন না, মার্কিন অর্থনীতিতে কখন মন্দা আর কখন তলানি শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তো মন্দাই শুরু হয়নি। তলানি তো তারও তলে। বাংলাদেশ এখনো শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের পর্যায়ে যায়নি। আর্থিক খাতের অবস্থা ধনিকতুষ্টির কারণে অবক্ষয়িত ও শোচনীয়। কিন্তু এতে সব অর্থনীতি তলানিতে গেছে বলা দায়িত্বশীল আচরণের পরিচায়ক নয়।

অর্থমন্ত্রীর অবচন ব্রত ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা

মাত্র কয়েক দিন আগে অর্থমন্ত্রী বললেন, দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে। যাঁরা এই ভালো অবস্থা দেখতে পান না, তাঁরা ভালো অর্থনীতিবিদ নন। অর্থমন্ত্রী নিজে হিসাববিদ হয়েও অর্থনীতিকদের সনদ দিয়ে ফেলেছেন।

তাঁর সংজ্ঞায়, ‘ভালো অর্থনীতিবিদ’ হ্যারিকেন দিয়ে খোঁজা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সে রকম জিনিস পাওয়া যায়নি। অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের মন্তব্য স্ববিরোধিতায় আক্রান্ত। এ যেন ‘তোমার আমার দুই মেরুতে বাস…।’ গভর্নরের ‘তলানি’ বক্তব্যের পর অর্থমন্ত্রীর আর কোনো মন্তব্য পাওয়া গেল না। এর কারণ এটাও হতে পারে, অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি মহাত্মা গান্ধীর মতো ‘অবচন ব্রত’ গ্রহণ করেছেন। তবে অনেকেই বলছেন, জমানা বদলে গেছে।

দেশে গিয়েছিলাম কয়েক দিন আগে। শুনলাম, আগের দিন আর নেই গভর্নর যখন চাতকের মতো অর্থমন্ত্রীর দিকে চেয়ে চেয়ে কাজকর্ম ঠিক করতেন। এখন নাকি গভর্নরই সব চালান। অনুরোধ করব, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ-জাতীয় স্বাধীনতার কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ধারা গভর্নর যেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশে সংযোজন করে যান। সেটা জাতির জন্য দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক হবে। ২০০১-০৫ সময়ে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতাবর্ধক কিছু সংশোধনী নীতিমালা যুক্ত করে গেছেন।

সংকটের ত্রিবেণি ও গভর্নরের ব্যাখ্যা

গভর্নর তাঁর কর্মজীবনে এমন সংকট চোখে দেখেননি—এ কথার দুটি ডাল গজিয়েছে। এক. সরকারবিরোধী দল ও রাজনীতিকেরা এটিকে লুফে নিয়েছেন। কোনো কোনো দল এ কথা তাদের ওয়েবসাইটেও দিয়েছে। বিশেষ করে ‘অর্থনীতি তলানিতে’, কথাটি তাদের বড় ভালো লেগেছে। শুনেছি, গভর্নরের খুঁটির জোর খুব শক্ত। তাই টিকে গেলেন। অন্য কোনো মন্ত্রী এমন মন্তব্য করলে হাতে কুপিবাতি ধরিয়ে প্রস্থানপথ দেখিয়ে দেওয়া হতো।

গভর্নর অবশ্য তাঁর কথার ব্যাখ্যা দিয়েছেন অন্যভাবে। তাঁর মতে, রাজস্ব ঘাটতি এ দেশের চিরস্থায়ী ব্যাপার। চলতি হিসাবেও বেশি সময়েই ঘাটতি থাকে। কিন্তু আর্থিক খাতের ১৫ বিলিয়ন ডলারের উদ্বৃত্ত রাতারাতি ২ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতিতে পরিণত হওয়া গভর্নর জীবদ্দশায় দেখেননি। আমরাও দেখিনি এ রকম মাত্র এক বছরে ১৭ বিলিয়ন ডলারের ধস।

গভর্নর এ জন্য চারটি কারণের ওপর দায় চাপিয়েছেন। এক. যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান নীতি সুদহার; দুই. আসন্ন নির্বাচন ও বিদেশি বিনিয়োগের দ্বিধা; তিন. ট্রেড ক্রেডিটের প্রতিকূলতা এবং চার. বিদেশি সহায়তার অর্থছাড়ে কষানি। কারণ, বহুবিধ হলে তা অজুহাতে পরিণত হয়। ইংরেজিতে একটি প্রবচন আছে এমন—‘বিষয়টি যদি হয় গুরুত্বপূর্ণ তাহলে তুমি এর সুরাহা বের করবে। যদি তা না হয়, তাহলে তুমি বের করবে অজুহাত।’

নির্বাচন দেশে আগেও হয়েছে, কিন্তু এভাবে ভাণ্ড খালি হয়ে যায়নি। ট্রেড ক্রেডিট কোনোকালেই ভারসাম্যকে ধসিয়ে দিতে কোনো বড় কারণ হয়নি। বিদেশি সহায়তার অর্থছাড়ের কষানি বা নরমায়ন কখনো রিজার্ভের বড় উপাদান নয়।

আসল ধাক্কা এসেছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। ওরা এতটা বোকা হয়নি যে বাংলাদেশের কম সুদের বাজারে পড়ে থাকবে। দেশি ধনিক তুষ্টির স্বার্থে দীর্ঘদিন সুদহারের ক্যাপ ধরে রেখে অর্থমন্ত্রী যে যুক্তিই খাড়া করুন না কেন, বিদেশিরা এই নতুন তত্ত্বে বিশ্বাস আনতে পারেনি। গভর্নরও এই ক্যাপ বেশ কিছু দিন গুরুবাক্যের মতো শিরোধার্য করে রেখে মাত্র কিছু দিন আগে ক্যাপ তুলে ট্রেজারি বিলের হাওলায় আরেক অদৃশ্য ক্যাপের জন্ম দিয়েছেন, যার কোনো দরকার ছিল না। নীতিতে সততা থাকা প্রয়োজন। সদিচ্ছার অভাবে অজুহাত বাড়ে।

অর্থমন্ত্রী বা গভর্নর কেন বুঝতে পারেননি, সুদের হারের একটা সর্বব্যাপ্ত শক্তি আছে। তা না হলে সুদের হার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হাতিয়ার হতো না। আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ইতিহাস মানে সুদের হারের ইতিহাস। ইদানীং সুদহার বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু রোগীর তো নাড়ি পড়ে গেছে। দেরি করে স্টেরয়েড দেওয়া বিজ্ঞ চিকিৎসাবিদ্যার পরিচয় বহন করে না। ফকির লালনের কথায়—সময় গেলে সাধন হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সুদহারকে দোষারোপ

সম্প্রতি পাবলিক রেডিওতে শুনলাম, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের বাজার চাঙা হয়ে উঠছে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। এতে সামগ্রিক চাহিদা বেড়ে যায়, যা আবার মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেয়। এতে ফেডারেল চেয়ার জেরোমি পাওয়েল বললেন, প্রয়োজনে তিনি সুদহার আরও বাড়াবেন, মূল্যস্ফীতি দমন করে ছাড়বেন। মার্কিন মূল্যস্ফীতিকে ইতিমধ্যেই সাড়ে ৯ শতাংশের পাগলা ঘোড়া থেকে সোয়া ৩ শতাংশের মেনি বিড়ালে পরিণত করা হয়েছে। পাওয়েল একে ২ শতাংশে না নামিয়ে ক্ষান্ত দেবেন না। এটি তার ম্যান্ডেট ও নীতি সততার অঙ্গ। এখানে প্রেসিডেন্টও বাধা দিতে পারবেন না। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নীতি সুদহার ছিল সিকি শতাংশ। এটি মার্চ থেকে ১১ দফায় বেড়ে আজ সাড়ে ৫ শতাংশে উঠেছে, যা ২২ গুণ বৃদ্ধির সাহস দেখিয়েছে।

সে তুলনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদহার নিয়ে অনান্তরিক মৃদু নাড়াচাড়া কোনো সদিচ্ছার প্রমাণই দেয় না। সারাক্ষণ যদি মাথায় থাকে মোটাতাজা ব্যবসায়ীরা সুদের ক্যাপ ভালোবাসতেন এবং সুদহার বাড়ালে তাঁরা মনে কষ্ট পাবেন, তাঁরা শূন্য প্রকৃত সুদের ঋণের মওকা ভোগ করতে পারবেন না—তাহলে নীতি প্রণয়ন সম্ভব নয়। মার্কিন মুল্লকে কি ব্যবসায়ী কম? কই তাদের কথায় তো মার্কিন গভর্নর সুদহার বাড়ানো বা মুদ্রা কষায়নে পিছপা হননি।

বাংলাদেশের সুদ নিয়ন্ত্রণে এই আন্তরিকতা ছিল না বলেই মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশে উঠে রয়েছে। গভর্নর এটিকে কোন জাদুমন্ত্রে ডিসেম্বরে ৮ শতাংশে ও জুনের মধ্যে ৬ শতাংশে নামাবেন, তা দেখার অপেক্ষায় আছি। সুদহার বৃদ্ধি পাওয়ায় মার্কিন বন্ড আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। অন্যান্য দেশ সে পথে হেঁটেছে দুই কারণে—মূল্যস্ফীতি দমন ও বিদেশি বিনিয়োগের আকস্মিক বহির্গমন ঠেকানো।

ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও সুদ বৃদ্ধির দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করেছে। আর বাংলাদেশ সে পথে হাঁটেনি কেন? সেটি কি রাজনীতি, না অর্থনীতি? সেই অদক্ষতার শাস্তিই হচ্ছে আর্থিক হিসাব খালি হয়ে যাওয়া। এ জন্য মার্কিন সুদ বৃদ্ধির নীতি দায়ী নয়। বরং দায়ী গভর্নরের নীতি জড়তা ও যোগ্যমাত্রায় ঠিক সময়ে সুদহার বৃদ্ধি না করার নীতি ত্যাড়ামো।

পাগলা হাতির গল্প

একবার এক বাজারে পাগলা হাতি নেমেছিল। পুলিশ মাইক দিয়ে সবাইকে দক্ষিণ দিকে দৌড়ে পালাতে বলল। আত্মরক্ষার তাগিদে সবাই তা অনুসরণ করলেও এক লোককে দেখা গেল সে উত্তর দিকে হাঁটছে বীরের ভঙ্গিমায়। পুলিশ জিজ্ঞেস করলে সে বলে, তাঁর স্ত্রী বলেছেন, তিনি যেন সবাইকে অনুসরণ না করেন। পুলিশ এবার কিছু উত্তম-মধ্যম দিয়ে তাঁকে দক্ষিণে দৌড়াতে বাধ্য করল। কিন্তু ততক্ষণে পাগলা হাতি তাঁর কাছাকাছি চলে এসেছে।

কখন স্ত্রীর কথা শুনতে হবে আর কখন পুলিশের কথা শুনতে হবে—তা বুঝতে না পারলে বিপদে পড়তে হয়। কখন রাজনীতির অগ্রাধিকার দিতে হবে আর কখন অর্থনীতির স্বার্থ দেখতে হবে—সেটি না বুঝলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানসম্পন্ন পরিচালনা সম্ভব নয়। সম্ভব নয় দেশকে ‘তলানি’ থেকে উদ্ধার করা।

  • ড. বিরূপাক্ষ পাল, অর্থনীতির অধ্যাপক, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক অ্যাট কোর্টল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র