চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি। আজ সন্ধ্যায়
চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি। আজ সন্ধ্যায়

মিরসরাইয়ে যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা, জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌরসভায় জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে হামলার জের ধরে পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

যুবদল নেতা কামরুল হাসানের অভিযোগ, জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা এ হামলা করেছেন। এতে তাঁর বাবা, স্ত্রীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে উপজেলা সদরের বেসরকারি হাসপাতালে, বাকি তিনজনকে মিরসরাই উপজেলা কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হামলার ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসানের বাবা আমিন হোসেন, স্ত্রী মর্জিনা আক্তার, জিয়া মঞ্চ মিরসরাই পৌরসভা সভাপতি নাহিদ হোসেন, মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামরুল ইসলাম, যুবদল কর্মী মো. জিয়াস কামাল, মিরসরাই কলেজ ছাত্রদলের নেতা মো. মাসুম। আহত নেতারা ওই সময় কামরুলের বাড়িতে ছিলেন।

আগের দিন শুক্রবার জামায়াতে ইসলামীর পূর্বনির্ধারিত সাধারণ সভায় যুবদল নেতা কামরুল হাসানের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের এস রহমান স্কুলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় এক সাংবাদিকসহ ৯ জন আহত হয়েছেন।

তবে তখন কামরুল হাসান দাবি করেন, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের চিহ্নিত কিছু নেতা-কর্মীকে পুনর্বাসন করতে সভা করছিল জামায়াত। স্থানীয় যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মিরসরাই পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর শিহাব উদ্দিনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁদের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন। এ সময় স্কুলের আশপাশে থাকা স্থানীয় লোকজনসহ যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের ওপরও হামলা করেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।

জানতে চাইলে কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুক্রবারের সন্ধ্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেলে মিরসরাই পৌরসভার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জামায়াত-শিবির। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় কয়েক শ নেতা-কর্মী নিয়ে পৌরসভা জামায়াতের আমির শিহাব উদ্দিন ও সেক্রেটারি একরামুল হকের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বাড়িতে থাকা আমার বাবা, স্ত্রী ও চার নেতা-কর্মীর ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব আমি।’

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর আমির শিহাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামরুল হাসানের বাড়িতে কে বা কারা হামলা করেছে আমার জানা নেই। তাঁর বাড়িতে হামলার সময় আমি মিরসরাই থানায় ছিলাম। বরং শুনেছি তিনি নিজেই এলাকায় তাঁর প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর চড়াও হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রমণ করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তি রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুবদল নেতা কামরুল হাসানের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কারা হামলা করেছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলার ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’