পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান খুনের মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আইজিপি বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে রবিউলের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো তথ্য জানা নেই। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করেছে। এটাই তাঁদের কাছে সর্বশেষ তথ্য। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইজিপি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমরা তথ্য দিয়েছিলাম বলেই তো ইন্টারপোল থেকে রবিউলের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে।’
আইজিপির এই বক্তব্যের আগে গত বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে রবিউল ইসলাম নজরদারিতে আছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
গতকাল শুক্রবার ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে রেড নোটিশের তালিকায় গিয়ে রবিউলের নাম দেখা যায়। এতে তাঁর ছবি, লিঙ্গ, জন্মস্থান, জন্মতারিখ, বয়স, জাতীয়তা ও অভিযোগের তথ্য রয়েছে।
রেড নোটিশে রবিউলের জাতীয়তা হিসেবে লেখা হয়েছে ‘বাংলাদেশি’। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হিসেবে লেখা আছে ‘হত্যা’। বাংলাদেশের অনুরোধে এ নোটিশ জারি করা হয়েছে।
ইন্টারপোলের নোটিশের তালিকায় এখন রবিউলসহ ৬৩ বাংলাদেশির নাম রয়েছে। বাংলাদেশ অংশের তালিকায় তাঁর নামটিই সবশেষ যুক্ত হয়েছে।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল। তিনি আরাভ খান নাম নিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি স্বর্ণের ব্যবসা করেন।
২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন মামুন ইমরান খান। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তাঁর আধাপোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলা তদন্ত করে পলাতক রবিউলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মামলাটি এখন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।