রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

অধ্যাপক হওয়ার পথ পরিষ্কার করতেই তাহেরকে হত্যা

অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। ৬৮ পৃষ্ঠার রায়টি গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল খারিজ করে গত ৫ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ ওই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, তাহেরের ছাত্র ও পরে সহকর্মী মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জাহাঙ্গীরের ভাই আবদুস সালাম ও আত্মীয় নাজমুল।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, মহিউদ্দিন অধ্যাপক হওয়ার পথ পরিষ্কার করতে তাহেরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। তাহের জীবিত থাকলে তাঁর পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ শূন্য, এ ধারণা থেকে তাহেরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। অপর তিনজন আর্থিক সুবিধা, সেবা ও কম্পিউটার পেতে হত্যার অপরাধ সংঘটিত করেন।

২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসার বাইরের ম্যানহোলে তাহের আহমেদের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সেদিন তাঁর ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ মতিহার থানায় মামলা করেন।

মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে একই বিভাগের এক শিক্ষকসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা ২০০৮ ও ২০০৯ সালে আপিল করেন। আপিলের ওপর ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট।