দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা
দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, ক্লাস-পরীক্ষা আজও বন্ধ

পেনশন নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অন্যদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। আন্দোলনের কারণে আজ মঙ্গলবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আজ সকালে ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা বেলা ১টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। পাশেই নতুন ভবনের সামনে অস্থায়ী প্যান্ডেল করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী কর্মসূচি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মমিন উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো বার্তা আসেনি। তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চান। দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে চান।

কর্মসূচি দীর্ঘস্থায়ী হলে শিক্ষার্থীরা সংকটে পড়বে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে মমিন উদ্দীন বলেন, ‘অবশ্যই সংকটে পড়বে। তবে আমরা করোনার সময়ে এমন সংকট কাটিয়ে উঠেছি। আমরা আন্দোলনটি করছি, ভবিষ্যতে যেন মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে আগ্রহী হন।’

কোটা বাতিলের দাবি

সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আজ বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলা ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়। ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক ঘোরে। প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে ক্যাম্পাসের সামনের বাহাদুর শাহ পার্ক ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ এলাকা যায়। আবার প্রধান ঘটকের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা।
কটূক্তিকারীদের বহিষ্কারের দাবি

এ ছাড়া ফেসবুকে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা-কটূক্তিকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে আজ একটি মানববন্ধন হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম।