সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। এ তথ্য জানিয়েছেন ফোরামের মহাসচিব আইনজীবী কায়সার কামাল।
এ জে মোহাম্মদ আলীর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে রেখেছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জে মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেলও।
এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শোক জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আইনজীবী কায়সার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসার জন্য গত ২৮ এপ্রিল সকালে বাংলাদেশ ছাড়েন এ জে মোহাম্মদ আলী। তাঁর মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছাবে। শনিবার বাদ জোহর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন বাদ আসর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের অক্টোবরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে তিনি দেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০১৩-১৪ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ জে মোহাম্মদ আলী।
জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবীর বাবা এম এইচ খন্দকার। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল।
এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।