বাংলাদেশে প্রচলিত সব আইন একত্র করে ‘দ্য বাংলাদেশ কোড’ প্রকাশ করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে মোট ৪৭ খণ্ডে এটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরুর আগে বাংলাদেশ কোডের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিব মইনুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লাল-সবুজের প্রচ্ছদে ‘বাংলাদেশ কোড’ এবার ৪৭ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রচলিত সব আইন নিয়ে সর্বশেষ ২০১৬ সালে ৪২ খণ্ডে বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার প্রকাশিত বাংলাদেশ কোডে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রণয়ন হওয়া ১ হাজার ১৭৭টি আইন যুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ লজ (রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট-১৯৭৩ অনুযায়ী দেশে প্রচলিত সব আইন একত্র করে বই আকারে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই বই–ই ‘বাংলাদেশ কোড’। এই আইনি বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এযাবৎকালের সব প্রচলিত আইন একত্র করে হালনাগাদ ‘বাংলাদেশ কোড’ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করে। লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব কাজী আরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল বাংলাদেশ কোড প্রকাশের কাজ সম্প্রতি শেষ করেন।
১৯৮০ সালে প্রথম বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই বছর ১১ খণ্ডে প্রকাশ করা ওই বইয়ে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত প্রচলিত আইনগুলো ছিল। এরপর ২০০৬ সালে ৩৮ খণ্ডে এবং ২০১৬ সালে ৪২ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছিল বাংলাদেশ কোড। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম প্রচলিত সব আইন হালনাগাদসহ বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হচ্ছে।