ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের করা আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে।
আজাদের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার ‘নট দিজ উইক’ (চলতি সপ্তাহে নয়) বলে সিদ্ধান্ত দেন।
ফলে আগামী সপ্তাহে ওই আবেদনের ওপর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন এ কে আজাদের আইনজীবী তানজিব উল আলম।
এর আগে শামীম হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে তাঁর প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। আপিলে দাবি করা হয়, শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। শুনানি শেষে ইসি আপিল মঞ্জুর করে সিদ্ধান্ত দেয়। ফলে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর বৈধতা নিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে শামীম হক ১৭ ডিসেম্বর রিট করেন। হাইকোর্ট রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শামীম হক, যার ওপর ১৯ ডিসেম্বর চেম্বার আদালতে শুনানি হয়। সেদিন চেম্বার আদালত শামীম হকের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত এবং রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে শামীম হককে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেন। ফলে তাঁর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খোলে।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ ১৯ ডিসেম্বর দেওয়া আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এ কে আজাদের করা আবেদন ২১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ২ জানুয়ারি শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে এ কে আজাদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানজিব উল আলম চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত সময় চান। আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ সময় শামীম হকের শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান।