‘মারামারি ভাঙচুরের পর বাস থেকে নেমে হেঁটে রওনা দিলাম’

মাতুয়াইলে বিএনপি পুলিশের সংঘর্ষে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকেই যানবাহন থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন
ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর কদমতলী থানার মাতুয়াইল মাতৃসদন হাসপাতালের সামনের সড়কে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যানবাহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। অনেকেই হেঁটে রওনা দিয়েছে।

মাতুয়াইল এলাকায় মানুষকে যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। সোনারগাঁওয়ের মদনপুর থেকে বাসে রওনা দেন মো. রোহান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাশেম রোডে তিনি বলেন, ‘আমাদের বাস ১১টার একটু পর মাতুয়াইল হাসপাতালের সামনে আসে। রাস্তা বন্ধ ছিল। অনেকক্ষণ অবস্থান করেও রাস্তা ফাঁকা হয়নি। এর মধ্যে মারামারি ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এখন বাস থেকে নেমে হেঁটে রওনা দিলাম।’

বেলা ১১টার পরে মাতুয়াইলে বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন৷ পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। জলকামান থেকে পানি ছুড়তেও দেখা গেছে। দুই পক্ষের মধ্যে এখনো সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ চলছিল। সেখানে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।

এদিকে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় বাস না পেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

শনির আখড়া এলাকায় এক ঘণ্টা ধরে অবস্থান করেও বাস পাননি তানিয়া আক্তার নামের এক যাত্রী।  তিনি বলেন, ‘কোনো বাস আসছে না।  বাসাবো যাব।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাওয়া যাচ্ছে। ১২০ টাকা ভাড়া দিয়ে আগে বাসাবোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতাম, এখন তাঁরা ৩৫০ টাকা চাচ্ছেন।’

মনোয়ারা বেগম নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘যাব গুলিস্তান। বাস নাই। জানতাম না আন্দোলন হবে। মনে হয় বাস পাব না। বাসায় ফিরে যাব।’