যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের দুর্বলতা জানালে সমাধানের চেষ্টা করব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন
ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো দুর্বলতা থাকলে বন্ধু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তা জানাতে পারে। বাংলাদেশ তা সমাধানের চেষ্টা করবে।

আজ সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাস করে, আমরাও একই ধরনের মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাস করি। তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করে, আমরাও করি। আমাদের মধ্যে কোথাও গ্যাপ থাকতে পারে, দুর্বলতা থাকতে পারে। তারা যদি বন্ধু হিসেবে সেটি আমাদের বলে, সেটি আমাদের জন্য লাভজনক। আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করব।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে তারা একটি বক্তব্য দিয়েছিল। আমরা দেখেছি, সেখানে কিছু দুর্বলতা আছে। আমরা সেটির কারেকটিভ অ্যাকশন নিয়েছি।’

দেশের মানবাধিকার বা গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সে ক্ষেত্রে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘গত তিন বছরে আমার জানামতে কোনো গুম হয়নি। একসময় র‌্যাবের কিছু বাড়াবাড়ি ছিল, যার জন্য র‌্যাবের কয়েক শ লোকের পদোন্নতি হয়নি বা তাঁদের শাস্তি হয়েছে। আমাদের পাঁচ আঙুল সমান না। কোনো কোনো লোক অসুবিধার সৃষ্টি করে। তবে এ বিষয়েও আমরা সজাগ রয়েছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসবে, আমরা এসব বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে কিছু আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং তারা বিভিন্ন ধরনের বানোয়াট তথ্য দেয়। এর ফলে ব্যক্তিবিশেষ হয়তো প্রভাবিত হয়। কিন্তু আমার মনে হয় না সরকার প্রভাবিত হয়।’