ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে (কোটা সংস্কার) আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ জন্য যুবসমাজের আগ্রহ ও চাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোবাইলের কলরেট কমানো এবং ইন্টারনেটের মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালু করতে অপারেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনসমর্থিত, তাই দেশ ও দেশের মানুষের উপকার হয়, এমন যেকোনো কাজ করতে সরকার আগ্রহী। টেলিযোগাযোগ খাতে উন্নতির জন্য সরকার কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সরকার এ সময়টা সফলভাবে পার করতে পারলে দেশ ঘুরে দাঁড়াবে এবং সম্ভাবনার নতুন নতুন দরজা খুলে যাবে। আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে দেশ পিছিয়ে যাবে।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য অপারেটরদের প্রতি আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম।
বৈঠকে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, আগে টেলিযোগাযোগ খাতের কোনো অফিসে গিয়ে কথা বলার মতো পরিবেশ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে পরিবেশ পরিবর্তন হয়েছে। এখন কথা বলা যাচ্ছে এবং মতামত পাওয়া যাচ্ছে, যা এ খাতের জন্য শুভ লক্ষণ।
রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব শেঠী বলেন, গত ১৫ বছরে টেলিযোগাযোগ খাতে কমিশনভিত্তিক বিভিন্ন ধাপ তৈরি হয়েছে। ফলে মোবাইল অপারেটররা মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বৈঠক দুটিতে গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ, রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মো. সাহেদুল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।