আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে সরকার সেটি বিবেচনা করবে এবং দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়াবে। রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের একটি কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে চান কি না, সেটি তাঁদের ওপর নির্ভর করবে। যদি তাঁরা মেয়াদ বাড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই সরকার এটার মেয়াদ বাড়াবে।’
এ ছাড়া আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘অর্থঋণ আদালতে মামলার যে শ্লথগতি, সেটাকে আরও চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমাদের অর্থনীতিতে ঋণখেলাপি যে একটা টেন্ডেন্সি (প্রবণতা), এটা কিন্তু একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সেটা দূরীকরণের জন্য বিচার বিভাগের যে কাজ করা দরকার, সেটা হচ্ছে অর্থঋণ আদালতে মামলাগুলো ন্যায়বিচারকে সমুন্নত রেখে দ্রুত শেষ করা।’
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরেরও বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্তির পর থেকে খালেদা জিয়া গুলশানের ভাড়া বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমে ছয় মাসের জন্য শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। পরে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়। মুক্তিতে থাকার সময় খালেদা জিয়া নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন; এ সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে শর্ত দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয়। ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়।