বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত দুই ছাত্র ও এক আসবাব কারিগরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। আজ শনিবার দিনভর এই তিনজনের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান জেলা প্রশাসক। অর্থসহায়তার পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনকে সান্ত্বনা দিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকায় নিহত শিক্ষার্থী মো. ওমর বিন আবছারের গ্রামের বাড়িতে যান ফরিদা খানম। ওমর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ট্রেনিং সেন্টারের প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি বোয়ালখালীর পোপাদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর আকুবদন্ডী ওয়ার্ডের গ্রামে। সেখানে তাঁর পিতা নুরুল আবছার ও মা রুবি আক্তারসহ স্বজনদের সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানান। পরিবারের সদস্যরা ওমরের কবরস্থানের রাস্তা সংস্কার ও বাড়ি পাশের একটি সড়ক ওমরের নামে নামকরণের দাবি জানান। পরে জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে বেলা দুইটায় আসবাব তৈরির মিস্ত্রি মো. ফারুকের স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফরিদা খানম। ফারুক চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর এলাকায় নিহত হন। নগরের লালখান বাজারের টাংকির পাহাড় এলাকায় থাকতেন তিনি। জেলা প্রশাসক ফারুকের স্ত্রী সীমা আক্তারকে আর্থিক সহায়তা দেন। পাশাপাশি সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেন।
এ ছাড়া আজ নগরের ওমরগণি এম ই এস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল আহমদের বাসায় যান। ফয়সাল মুরাদপুরে সংঘর্ষের সময় নিহত হন। তাঁর বাসা নগরের লালখান বাজারের বাঘঘোনা এলাকায়। ফয়সালের পরিবারকেও অর্থসহায়তা দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকালে ফরিদা খানমের সঙ্গে আরও ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদি-উর রহিম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান, বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রী খীসা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিজাউর রহমান, সাদিক আরমান প্রমুখ।