বননির্ভর জনগোষ্ঠীর ভূমি, পানি, যাতায়াত, গোচারণ ও বনজ দ্রব্য আহরণের অধিকার আইনগতভাবে নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, বনবাসীদের সঙ্গে বন বিভাগের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করা হবে। এ জন্য সামাজিক বনায়ন বিধিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধনের কাজ চলছে।
গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ফসল কাটার উৎসব ‘ওয়ানগালা’ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, গারোদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আদিবাসী পরিষদ কাজ শুরু করেছে। মধুপুর বনের বিরোধপূর্ণ সীমানা চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে বনবাসীদের বাইরে রেখে কিছু করা হবে না। ‘বালুদস্যু ও পাথরখেকোদের’ বিরুদ্ধে ভূমি ও পানি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বন রক্ষা করতে হবে।
ওয়ানগালা উৎসব সম্পর্কে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘ওয়ানগালা প্রকৃতি ও মানবসমাজের সম্পর্কের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফসল কাটার এই সময় প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মুহূর্ত। আমাদের সবার উচিত পরিবেশ সুরক্ষায় গারোদের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের যত্ন নেওয়া।’
ওয়ানগালা উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করা হয়।
নকমা সীমান্ত চিসিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য ফজলুল হক, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) নাফরিজা শায়মা, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কবি ও গবেষক পরাগ রিচিল প্রমুখ।