বাংলাদেশে সাড়ে তিন কোটি মানুষ থাইরয়েড জনিত রোগে আক্রান্ত। সাধারণ মানুষকে এ রোগ সম্পর্কে জানাতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক গবেষণা। এক সেমিনারে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন।
বিশ্ব থাইরয়েড দিবস (২৫ মে) উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার এ দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, ‘থাইরয়েড হরমোন জনিত রোগ-অসংক্রামক রোগ’।
রোবেদ আমিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে সাড়ে তিন কোটি মানুষ থাইরয়েড জনিত রোগে আক্রান্ত। এই রোগ নিয়ে আগে আমাদের কাছে তেমন উল্লেখ করার মতো তথ্য-উপাত্ত ছিল না। কিন্তু বর্তমানে এ রোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ছে। দেশের সাধারণ মানুষকে সহজ সরল ভাষায় এ রোগ সম্পর্কে জানাতে হবে, সচেতনতা বাড়াতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক গবেষণা। ২০৪১ সালের মধ্যে সরকার যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে স্মার্ট মানুষ গড়তে হবে। আর স্মার্ট মানুষ মানে স্বাস্থ্যবান এবং স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ।’
ওবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি ফারহানা দেওয়ান বলেন, থাইরয়েড রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নাই। এই সচেতনতা বাড়াতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি দেশের গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রাইনোলজিষ্ট অ্যান্ড ডায়াবেটোলজিস্ট অব বাংলাদেশের (এসিইডিবি) সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, থাইরয়েডের বিশ্বমানের চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে। দেশে এখন ৩০০ জনেরও বেশি থাইরয়েড বিশেষজ্ঞ রয়েছে। থাইরয়েড জনিত রোগে এখন শুধু প্রয়োজন সচেতনতা ও সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা।
সেমিনারের শুরুতে থাইরয়েড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এসিইডিবির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মুর্শেদ আহমেদ খান ও ওজিএসবির আজীবন সদস্য তাবাচ্ছুম পারভিন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত চিকিৎসকেরা আলোচকদের থাইরয়েড জনিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন।
সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসিইডিবির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ, ওজিএসবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সালমা রউফ প্রমুখ।
এসিইডিবির থাইরয়েড হরমোন ফোকাল গ্রুপ এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে সায়েন্টিফিক পার্টনার হিসেবে ছিল রেনাটা লিমিটেড।