দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সকাল ৮টা থেকে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
যে ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে, তাতে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯, আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০। হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮৪৮। নির্বাচন কমিশনের মোট নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪। এর মধ্যে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ২৮টি রাজনৈতিক দল। বিএনপিসহ নিবন্ধিত বাকি দল এবং আরও কিছু বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করেছে।
রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ওপর তাঁর বিশ্বাস আছে। তাঁর দল আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার জয় হবে।
আজ রোববার সকাল ৮টার একটু আগেই প্রধানমন্ত্রী সিটি কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে পৌঁছান। সময় শুরুর পরই প্রধানমন্ত্রী ভোটকক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি ভোট দেন।
ভোট দেওয়ার পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি, সে জন্য আমি আমার দেশের মানুষের প্রতি, জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, অনেক বাধা ছিল।
নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) আসনের একটি কেন্দ্রে ১২টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। রোববার সকাল ৯টার দিকে কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ বাতিল করেন নরসিংদীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বদিউল আলম।
সকাল আটটার দিকে বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই জাল ভোট দেওয়ার ঘটনা ঘটে। যাঁর বিরুদ্ধে এই জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ, তিনি আসনটির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী।
মাগুরা–১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসান আজ রোববার সকাল আটটার দিকে দরি মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তাঁর জয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসান রাজনীতিবিদ হিসেবে আজ প্রথমবার ভোট দিলেন দেশের অন্যতম সেরা এই ক্রীড়াবিদ।
সকাল আটটার কয়েক মিনিট আগেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পৌঁছান সাকিব আল হাসান। আটটা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন সাকিব। সেখানে ভোট দিয়ে কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, তিনি আশা করেন, মানুষ তাঁর নাগরিক অধিকার হিসেবে ভোট দিতে আসবেন। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিতে নাম লেখানো এই প্রার্থীর আশা, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রগুলোয় ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাছা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভোট দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তাঁর আগমনের আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল অনেক। ছবি : প্রথম আলো
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে মিরপুর উপজেলার শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি বুথে ৫০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও একটিও ভোট পড়েনি। ওই বুথে মোট ভোটার ৪৩০ জন।
আজ সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ওই কেন্দ্রে যান। এই কেন্দ্রে মোট পাঁচটি বুথ। তিন নম্বর বুথে দেখা গেল সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা বসে আছেন। পাশেই দুজন পোলিং এজেন্টও বসে আছেন। তাঁদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম নামের একজন নৌকার এজেন্ট ও শারমিন আক্তার নামের একজন ট্রাক প্রতীকের এজেন্ট। এই আসনে মোট প্রার্থী আটজন। বাকি ছয় প্রার্থীর কোনো এজেন্টকে ওই বুথে পাওয়া যায়নি।
বুথের সরকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাদশা আলম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ৮টার সময় ভোট গ্রহণ শুরু হলেও এই বুথে ৫০ মিনিটে একটি ভোটও পড়েনি বা কেউ ভোট দিতে আসেননি।
কুষ্টিয়া ২ আসনে নৌকা প্রতীকের মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন।
মুন্সিগঞ্জ-৩ (সদর ও গজারিয়া) আসনে ভোটকেন্দ্রের পাশে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের এক সমর্থককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার টেঙ্গর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মো. জিল্লুর রহমান মিরকাদিম পৌর শ্রমিক লীগের সহসভাপতি। মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সালের সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়তে পারে। রোববার সকালে রাজধানীর সিটি কলেজে নিজের ভোট দিয়ে এ কথা বলেন আনিছুর রহমান। কেন্দ্রটি পড়েছে ঢাকা-১০ আসনের মধ্যে।
আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোট দেন আনিছুর রহমান। তিনি এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
এ সময় সাংবাদিকেরা আনিছুর রহমানের কাছে জানতে চান, ভোট প্রদানের হার কত হতে পারে বলে তাঁর ধারণা। এর উত্তরে আনিছুর রহমান বলেন, ‘৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়বে বলে আশা করি।’
মাদারীপুর কালকিনির দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জোর করে ভোট প্রদানের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্যালট বাক্সগুলো নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিকে ১২ টা ৩৪ মিনিটে মাদারীপুর কালকিনির দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
কুমিল্লা–৭ (চান্দিনা ও দেবীদ্বার) দুইটি ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে সিল মারা ব্যালট পাওয়া গেছে। রোববার সকাল আটটার সময় এ ঘটনা ঘটে। নৌকা প্রতীকে সিল মারা ব্যালটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চান্দিনায় সিল মারা ব্যালট জব্দ করে বাতিল করা হয়েছে। একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেবীদ্বারের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
মাগুরা পৌরসভার দরি মাগুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম দুই ঘণ্টায় ৩২৩টি ভোট পড়েছে। সকাল ৮টায় পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের এ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ক্রিকেটার নৌকার প্রার্থী সাকিব আল হাসান। প্রথম দুই ঘণ্টার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেখানে ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের খুলশীর পাহাড়তলী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে নৌকা ও ফুলকপি প্রতীকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকের এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন শান্ত বড়ুয়া (৩০) ও মো. জামাল(৩২)।
মাদারীপুর কালকিনির দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে রোববার দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটের দিকে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জোর করে ভোট দেওয়ার জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
ঢাকা-১৭ আসনের রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্রে বিদেশি পর্যবেক্ষক গোল্ড ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজির প্রেসিডেন্ট এলি এম গোল্ড আসার আগে তৈরি হয়ে গেল ভোটারের দীর্ঘ সারি। সেই পর্যবেক্ষক চলে যাওয়ার পরই কেন্দ্রটি প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।
এলি এম গোল্ড চলে যাওয়ার পরপরই বনানী মডেল স্কুলে ভোটারের দীর্ঘ সাড়ি প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। লাইনে দাঁড়ানো নারীরা দল বেধে কেন্দ্রের বাইরে চলে যান।
নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপসী নিউ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তৈমুর আলম খন্দকার।
রাজধানীর হাজারীবাগের একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে সকালে ককটেল বিস্ফোরণে এক শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এখানে ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের ভোটগ্রহণ চলছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের নাম জানা যায়নি।
সারা দেশে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে বেলা ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত গড়ে সাড়ে ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ঢাকা বিভাগের আসনগুলোতে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ শতাংশ, সিলেটে ১৮ শতাংশ, বরিশালে ২২ শতাংশ, খুলনায় ২১ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৭ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ২০ শতাংশ ভোট পড়ে।
ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউ মার্কেট ও কলাবাগান নিয়ে গঠিত) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ রাজধানীর মিরপুরের ভাষানটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। রোববার সকাল ১০টার দিকে ভোট দেওয়ার সময়ে স্ত্রী তানিয়া ফেরদৌস ও দুই মেয়ে নুজহাত ও নামিরাকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসেন ফেরদৌস আহমেদ। খবর ইউএনবি
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে ৪ জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার দুপুর ১২টার দিকে পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের বড় পানছড়ি (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা অঞ্জন দাশ বলেন, এরা হলেন মো. জাহিদ হাসান (১৯), মো. শওকত মিয়া (২১), মো. হালিম(২১) ও মো. ফুলমিয়া (২১) নামে চারজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ঢাকা-১১ আসনের বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি মহিলা ভোটকেন্দ্রে ভোটার ৬৬৩৫ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৪৫৭ টি, যা মোট ভোটারের প্রায় ৫ শতাংশ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে চারটি ভোটকেন্দ্রে ভোটার ১৩ হাজার ৮৩জন। বেলা একটা পর্যন্ত এই চার কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৬৫টি৷ ভোটগ্রহণের ৫ ঘন্টা পরে বেলা ১টার দিকে মাত্র ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে৷
পাবনা-২ (সুজানগর ও বেড়ার একাংশ) আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে জোর করে নৌকায় ভোট নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। ভোট গ্রহণ শুরুর পর সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের খুলশীর পাহাড়তলী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে নৌকা ও ফুলকপি প্রতীকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় এক যুবককে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। তাঁর পরিচয় এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি কেন্দ্রে গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আগানগরের আমবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারের ভিড় দেখানোর জন্য নৌকার ব্যাজধারী একদল যুবক কৃত্রিম লাইন তৈরী করে দাঁড়িয়ে আছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের দেখতে পেয়ে তারা এ কৃত্রিম লাইন তৈরি করেন। ছবিটি বেলা ১ টা ২৫ মিনিটের দিকে তোলা।
মানুষ বিএনপির ডাকা হরতাল প্রত্যাখান করে কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কসবায় ভোট দেওয়া পর তিনি বলেন, এতেই প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের জনগন সন্ত্রাস প্রত্যাখান করছে। আজকের ভোট হচ্ছে গণতন্ত্রকে রক্ষার ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে রোববার দুপুর ১২টার দিকে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানিয়েছে, রোববার বেলা ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত হিসাবে দেখা গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশি ভোট পড়ছে খুলনা বিভাগে, কম সিলেটে। এছাড়াও ঢাকা বিভাগের আসনগুলোতে ২৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ ২৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম ২৭ শতাংশ, রাজশাহী ২৬ শতাংশ, খুলনা ৩১ শতাংশ, রংপুর ২৬ শতাংশ, সিলেট ২২ শতাংশ ও বরিশালে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। সার্বিকভাবে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তা জানা যায়নি।
তবে এর আগে বেলা ১২টার পরে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ১২টা ১০ মিনিটে সারা দেশে সাড়ে ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয় আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টার দিকে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। এখন ভোট গনণা চলছে।
২৯৯ আসনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯, আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০। হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮৪৮।
নির্বাচন কমিশনের মোট নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪। এর মধ্যে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ২৮টি রাজনৈতিক দল। বিএনপিসহ নিবন্ধিত বাকি দল এবং আরও কিছু বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করেছে।
সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রথম আলোর প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর বলছে, সকালে ভোটার উপস্থিতি কোথাও কোথাও কম ছিল। কোথাও কোথাও ছিল তুলনামূলক বেশি।
এদিকে সারা দিনে ভোটের চট্টগ্রামে গুলির ঘটনা ঘটেছে। আর মুন্সিগঞ্জে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া এক মন্ত্রীর প্রকাশ্য ব্যালটে সিল মারা, কুমিল্লায় দুই কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের সিল মারা ব্যালট জব্দ, পরে বাতিল করা, রাজধানীর বনানীতে বিদেশি পর্যবেক্ষক আসার আগে হঠাৎ দীর্ঘ লাইন, তাঁরা চলে যেতেই ফাঁকাসহ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে আজ ভোটগ্রহণ শেষ হলো।
এদিকে সারা দেশে বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, এই হিসাবে কিছুটা হেরফের হতে পারে। কারণ সব জায়গার তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইসি সূত্র জানায়, বেলা ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় ২৫, চট্টগ্রামে ২৭, খুলনায় ৩২, সিলেটে ২২, ময়মনসিংহে ২৯, রাজশাহীতে ২৬, রংপুরে ২৬ ও বরিশালে ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এর আগে বেলা ১২টার পরে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে সাড়ে ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগে সারা দেশে ভোটের দিনে নির্বাচন বর্জন করেছেন ১৪ প্রার্থী। এদের মধ্য স্বতন্ত্রসহ অন্য দলের প্রার্থীরাও আছেন।
চট্টগ্রাম-১৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। রোববার বিকাল ৪টায় এ ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান।
এর আগে নিজের অনুসারীকে আটক করায় নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী থানায় এসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদকে ধমকান। রোববার দুপুর ১২টায় বাঁশখালী থানায় ওসির কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ।
আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে নানা আলোচনার মধ্য অন্যতম একটি হচ্ছে এবার সংসদে বিরোধী দল হবে কোন দল।
রাঙামাটি আসনের বাঘাইছড়ি উপজেলার দুটি ভোটকেন্দ্রে বাঘাইছড়ির বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি।
নির্বাচনের অনিয়মসহ নানা অভিযোগে সারা দেশে ভোটের দিনে নির্বাচন বর্জন করেছেন ২৮ প্রার্থী। ২৩ আসনের এসব প্রার্থীর মধ্য স্বতন্ত্রসহ অন্য দলের প্রার্থীরাও আছেন।
নির্বাচনে ১৪০টি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪২ জনকে। নির্বাচন কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব গণনার পর ভোটের হার বাড়তেও পারে, কমতেও পারে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে এখন গণনা চলছে। বিভিন্ন জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, সাবের হোসেন চৌধুরী, সালমান এফ রহমানসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতা এগিয়ে আছেন।
তবে আওয়ামী লীগের ডাকসাইটে এবং একাধিকবারের সংসদ সদস্যকে পেছনে রেখে বেশ কয়েকটি আসনে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পিছিয়ে আছেন ১৪ দলের শরিক জাসদের হাসানুল হক ইনু এবং ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা। দুজনেই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন।
শেরপুর-২ থেকে আওয়ামী লীগের মতিয়া বেশ বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে। এর পাশাপাশি ভোলা-১ থেকে আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, ঢাকা-৯ থেকে আওয়ামী লীগের সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-৬ থেকে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং পঞ্চগড়-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া এগিয়ে আছেন।
ঢাকা-১ আসনে মোট কেন্দ্র ১৮৪টির মধ্যে ছয়টির ফলাফলে সালমান এফ রহমান তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের চেয়ে এগিয়ে আছেন। সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, দুই কেন্দ্রের ফলাফলে সালমান এফ রহমান পেয়েছেন ৭৯৩ ভোট আর সালমা ইসলাম পেয়েছেন ২৫১ ভোট।
ফরিদপুর-৩ আসন এবার নির্বাচনী প্রচারণার সময় নানা কারণে আলোচনায় ছিল। এ আসনের ১৫৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৫টি কেন্দ্রের ফলাফলে এ আসনে বিশিষ্ট শিল্পপতি এ কে আজাদ ৫৭ হাজার ৯৬৫ ভোটে এগিয়ে আছেন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক পেয়েছন ২৫ হাজার ৭০০ ভোট।
হবিগঞ্জ-৪ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক (সুমন) এগিয়ে আছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
চাঁদপুর-৩ আসনে ১৬৫ কেন্দ্রের মধ্যে ৩২ টি কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা গেছে ১৯ হাজার ৯৫২ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি এগিয়ে আছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামসুল হক ভূঁইয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৬১১ ভোট।
মাদারীপুর–৩ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম এগিয়ে আছেন। এ আসনের ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৫টির বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে তাহমিনা বেগম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ১৩৮ ভোট। আর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৯ ভোট।
ঢাকা–১৯ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ২৯২। ২৬টি কেন্দ্রে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ ৫ হাজার ৯৯০ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়েছেন। আর ট্রাক প্রতীক নিয়ে আরেক স্বতন্ত্র প্রাথী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৩০ ভোট। সাভারের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে থেকে সন্ধ্যা ৭টায় এই তথ্য জানা গেছে।
রাজবাড়ী–১ আসনে ৪১ কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী কেরামত আলী। তিনি ২৫ হাজার ৯৩৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমদাদুল হক বিশ্বাস (ট্রাক) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪০২ ভোট।
রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুনশি ৪৬ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৩১ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র এ কথা জানিয়েছন।
গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া -কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই আসনের মোট কেন্দ্র ১০৮। সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে শেখ হাসিনা (নৌকা) ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মনোনীত প্রার্থী এম নিজাম উদ্দীন লস্কর একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৬৯ ভোট।
রংপুর-১ (গংগাচড়া-সিটি আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান (রাঙ্গা) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।
কুড়িগ্রাম-২ (সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হামিদুল হক খন্দকার (ট্রাক) ৯৫ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৮ ভোট।
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সোনালী আঁশ) চার হাজার ভোট পেয়েছেন।
মৌলভীবাজার–৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হলেন মো. আব্দুস শহীদ। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা সপ্তমবারের মতো বিজয়ী হলেন তিনি। আব্দুস শহীদ ২ লাখ ১২ হাজার ৪শ ৯১ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টে প্রার্থী আব্দুল মুহিত হাসানী মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩শ ৯০। আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন মিনার প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৬৮ ভোট পেয়েছেন।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নকলা ও নালিতাবাড়ীর দুই সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আজ রোববার রাত আটটার দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
নৌকা প্রতীক নিয়ে মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ ভোট। ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে বেসরকারি ফলাফলে মহিব্বুর রহমান (নৌকা) ৬০ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুবুর রহমান (ঈগল) পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৭৬ ভোট।
মেহেরপুর-১ ( সদর-মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৪ হাজার ৩০৩টি। ফরহাদ হোসেনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন ।
মেহেরপুর -২ (গাংনী) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট।
টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।
নীলফামারী-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এক লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। আসাদুজ্জামান নূর এ নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো নীলফামারী-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ফল ঘোষণা করেন।
জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিজ নিজ আসনে জয়ী হয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে হেরে গেছেন।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে রাশেদ খান মেনন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়ছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইয়াজুল হক পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩ ৯৭ভোট।
বরিশাল-১ আসন (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ১২২ ভোট।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে বেসরকারিভাবে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। তিনি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭২৮ ভোট।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা হেরে গেছেন। তাঁকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান। শফিকুর পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯০৬ ভোট। ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট।
পটুয়াখালী -২ (বাউফল) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত আ স ম ফিরোজ জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মহসীন হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৬।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে নৌকা ও দুটিতে স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্রপ্রার্থী (কলার ছড়ি) সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জি এম ফরহাদ হোসেন ৪৬ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি) ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান (কাঁচি) ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে নৌকার প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২ লাখ ২১ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল (আম) পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম ১ লাখ ৯২ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৬।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল) ১ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৮২১ ভোট।
নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক (প্রতীক–কাঁচি) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭১৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০১। বর্তমান সংসদ সদস্য জাপা প্রার্থী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এইচএম এরশাদের ভাগনে আহসান আদেলুর রহমান পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩১৩ ভোট।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৩৫২ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭১৮ ভোট।
বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মাগুরা–১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসান। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে নৌকা প্রতীকে সাকিব পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট। সাকিবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের কাজী রেজাউল হোসেন ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৪ ভোট।
পাবনা-২ (সুজানগর- বেড়ার একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বিজয়ী হয়েছেন। ফিরোজ কবির ১ লাখ ৬৫ হজার ৮৪২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি এই আসন থেকে এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।
রংপুর ৩ (সদর-সিটির আংশিক) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।
দিনাজপুর-৩ (সদর উপজেলা) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ভোট।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগকারী মীর এনায়েত হোসেন পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট।
পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বিজয়ী হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৩১৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৭ ভোট।
শেরপুর-১ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছানুয়ার হোসেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক (নৌকা), ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন।
শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে জয় পেয়েছেন এ ডি এম শহিদুল ইসলাম (নৌকা)। তিনি এক লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম আব্দুল্লাহহেল ওয়ারেজ (স্বতন্ত্র– ট্রাক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭২৮।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বেসরকারি ভাবে সংসদসদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৯৮৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট।
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। তিনি এক লাখ ১৩ হাজার ৫৮২ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৪৮।
বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ তন্ময় দ্বিতীয়বারের মত বিজয়ী হয়েছেন। শেখ তন্ময় পেয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম ৪ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়েছেন।
বাগেরহাট-৩ (রামপাল- মোংলা) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৬৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস আলী ইজারদার পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২০৪ ভোট।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি এই আসন থেকে এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।
রংপুর ৩ (সদর-সিটির আংশিক) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।
বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মাগুরা-১ (শ্রীপুর ও সদরের একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসান। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষণা করা হয়, নৌকা প্রতীকে সাকিব পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট।
যশোর ৬ (কেশবপুর) নির্বাচনীএলাকায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর মোট ভোট ৪৮ হাজার ৯৪৭ । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের শাহীন চাকলাদার ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন।
দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর) আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হলেন শিবলী সাদিক। নৌকার প্রার্থী শিবলী সাদিক এক লাখ ৮২ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট।
পটুয়াখালী -১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকি) আসনে জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার (লাঙ্গল) ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার (ডাব) ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট পেয়েছেন।
পটুয়াখালী- ৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে নৌকার প্রার্থী এস এম শাহজাদা ৯৪ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন (ঈগল) পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৪ ভোট।
গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম (নৌকা) ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কাজী শাহীন (লাঙ্গল) ১ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়েছেন।
পাবনা ৪ ( ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট।
যশোর-৪ আসনে (অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা এবং সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক বিজয়ী হয়েছেন। এনামুল পেয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) জহুরুল হক পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট।
গোপালগঞ্জ-১ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি এক লাখ ১৮ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাবির মিয়া (স্বতন্ত্র–ঈগল) ১ লাখ ৮ হাজর ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন।
ঝালকাঠি -১ ( রাজাপুর - কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছেন এক হাজার ৬২৪ ভোট।
মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। শাহাব উদ্দিন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন থেকে আগেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ ভোট।
সুনামগঞ্জ -২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেন গুপ্তা। কাঁচি প্রতীক নিয়ে তিনি ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পেয়েছেন ৫৮হাজার ৬৭২ভোট।
জয়া প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী।
সুনামগঞ্জ -৫ আসনে (ছাতক–দোয়ারাবাজার) নৌকার প্রার্থী মুহিবুর রহমান এক লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামিম আহমদ চৌধুরী ৯১ হাজার ৮৮৮ ভোট পেয়েছেন।
লালমনিরহাট-১ ( হাতীবান্ধা- পাটগ্রাম) আসনে মো. মোতাহার হোসেন (নৌকা) ৯০ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ১৫৮ ভোট।
লালমনিরহাট-২ ( আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তিনি ৯৭ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী সিরাজুল হক (স্বতন্ত্র) ৫১ হাজার ৩৩৮ ভোট পেয়েছেন।
জামালপুর-৫ (সদর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো.আবুল কালাম আজাদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২ লাখ ১৫ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২৪৯ ভোট।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ জয় পেয়েছেন। তিনি এক লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট।
পাবনা–৫ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৫২হাজার ৭৮১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াকার্স পার্টির জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১৬ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন দুই লাখ ৫হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজাউর রাজি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম এক লাখ ১৫হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম পেয়েছেন ৫৭হাজার ২৪৫ ভোট।
সাতক্ষীরা -২ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু নির্বাচিত হয়েছেন। আশরাফুজ্জামান পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৭৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৭ ভোট।
মৌলভীবাজার-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী। তিনি ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম শফি আহমদ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫২।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে জিল্লুর একা লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৬ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার মো. আলতাফুর রহমান ২ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়েছেন।
গাজীপুর -৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিমিন হোসেন (রিমি) ৮৯ হাজার ৭২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ ৪৪ হাজার ৪৫ ভোট পান।
গাজীপুর -৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুমানা আলী এক লাখ ২৬ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন এক লাখ ১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন।
রংপুর -৬ (পীরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এক লাখ ৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৬হাজার ৮৩২ ভোট।
রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কামাল মো. আহসানুল হক চৌধুরী ৮১ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার ৬১ হাজার ৫৮৩ ভোট পেয়েছেন।
রংপুর -৫ (মিঠাপুকুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার ১ লাখ ৯ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের রাশেক রহমান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৯০।
রাঙামাটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দীপংকর তালুকদার দুই লাখ ৭১ হাজার ৩৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী অমর কুমার দে (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট) চার হাজার ৯৬৫ ভোট পেয়েছেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দীপু মনি, মাশরাফি বিন মুর্তজা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু হেরে গেছেন।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি এক লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৩৫ ভোট।
চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে চতুর্থবারের মতো জিতেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৬হাজার ৫৬৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল হক ভূঁইয়া পেয়েছেন ২৪হাজার ১৫৯ ভোট।
নড়াইল-২ (লোহাগড়া উপজেলা ও সদরের একাংশ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬১ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১ ভোট।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন ট্রাক প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। হাসানুল হক ইনু পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারেরমত বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক সেলিম মাহমুদ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৫১ হাজার ৩৮৩। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ার প্রতীকের মো. সেলিম প্রধান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৩৪ ভোট।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) দ্বিতীয়বারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া ৩৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়েছেন
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) আসনে পঞ্চমবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৪ হাজার ১৭ ভোট । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মাঈনুদ্দিন ৩৮ হাজার ১৫৫ ভোট পেয়েছেন।
জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী আসনে স্বতন্ত্র আব্দুর রশিদ ট্রাক প্রতীক নিয়ে ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নৌকা প্রতীকের মাহবুবুর রহমান ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট পেয়েছেন।
বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৩৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির মো. কামরুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ২১০ ভোট।
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এক লাখ ৯৯ হাজার ৩৪ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী দুপুরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া স্বতন্ত্র পার্থী এম আর জামিল হোসাইন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৬ ভোট।
ফেনী -১ আসনে নৌকার প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এক লাখ ৮২ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার শাহরিয়ার ইকবাল ৪ হাজার ১৯৫ ভোট পেয়েছেন।
ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার নজরুল ইসলাম খোন্দকার পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৮ ভোট।
রাজশাহী-৫ আসনে (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি ৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের ওবায়দুর রহমান পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট।
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মির্জা আজম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মীর সামসুল আলম পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭০ ভোট পেয়েছেন।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল হক খান জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭০ হাজার ৭৬২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শাহীনুজ্জামান ৩০ হাজার ৫৪৮ ভোট পেয়েছেন।
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুর মোহাম্মদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ২৮ হাজার ২৪৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী এস এম আবু সায়েম ৬ হাজার ৭০ ভোট পেয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -১ (শিবগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ ৭৯ হাজার ৮১২ ভোট পেয়েছে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭০৯ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান এক লাখ ১৫ হাজার ৫১ ভোট পেয় জয় পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ৬৬ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -৩ (সদর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ ৯১ হাজার ৬০৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মতিন পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ( আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) নৌকা প্রতীকের সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ৯৬ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭৬৮ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ( দামুড়হুদা, জীবননগর ও সদরের একাংশ) নৌকা প্রতীকের আলী আজগার টগর এক লাখ ৭ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হাশেম রেজা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৩৪ ভোট।
গাজীপুর ১ আসনের বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। তাঁর প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৯ হাজার ২১৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম রাসেল ৯২ হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়েছেন।
গাজীপুর-২ (গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা) আসনে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি এক লাখ ৩ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিম উদ্দিন পেয়েছেন ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট।
গাজীপুর–৫ (কালীগঞ্জ, পুবাইল ও বাড়িয়া) আসনের বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামান। তিনি ৮১ হাজার ৪৭৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি ( নৌকা) পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৭৪ ভোট ।
খুলনা -২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিন জয় পেয়েছেন। তিনি ৯৯ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার গাউসুল আজম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৪১ ভোট।
খুলনা -৪ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী ৮৬ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৯৩ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-১ ( রামগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয় পেয়েছেন আনোয়ার হোসেন খান। তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ১৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৫৬ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-২ ( রায়পুর) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নুরউদ্দিন চৌধুরী ১ লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ২৮ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-৩ ( সদর) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মিয়া গোলাম ফারুক ৫২ হাজার ২৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ সাত্তার পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬২৮ভোট।
লক্ষ্মীপুর-৪ ( রামগতি ও কমলনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ৪৬ হাজার ৫০৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের প্রার্থী মোশারফ হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫০৭ ভোট।
রাজশাহী-৬ আসনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তিনি এক লাখ এক হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক ৭৪ হাজার ২৭৮ ভোট পেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূইয়া ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট পেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের বেসরকারি ফলাফলে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু। তাঁর প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৬৮হাজার ২৪২। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আলমগীর শিকদার ৭ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বেসরকারিভবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী কায়সার হাসনাত। তাঁর প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ১২হাজার ৮০৮। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার লিয়াকত হোসেন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮১১ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান। তিনি এক লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল ৭ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন জাপার সেলিম ওসমান। তিনি এক লাখ ৫২ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়ছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের একরামুল হক ৬ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম ১১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম এ লতিফ ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট।
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ ৯৫ হাজার ৮৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৪০ ভোট।
মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিন জয়ী হয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪৪ ভোট পেয়ে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা ১৪ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস পেয়েছেন ৮২ হাজার ৮৩৩ ভোট।
সাতক্ষীরা -১ (তালা-কলারোয়া) আসনে এক লাখ ৪৪ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গলের প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮২১ ভোট।
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি, দেবহাটা ও কালীগঞ্জের একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী আ ফ ম রুহুল হক এক লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের আলিপ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৪৭৩ ভোট।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালীগঞ্জের একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী আতাউল হক এক লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৮ ভোট।
নরসিংদী–৪ আসনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জিতেছেন। তবে ঢাকা–১৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরেছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) আসনে নূরুল মজিদ পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৩০২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সাইফুল ইসলাম খান বীরু (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ৭০ হাজার ৬২০ ভোট।
ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং ওরফে মুরাদ পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট। আর ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট।
নরসিংদী–১ (সদর) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি ৯২ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান ৫৪ হাজার ৩১৫ ভোট পেয়েছেন।
নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুল আশরাফ খান জয় পেয়েছেন। তিনি ৮৬ হাজার ৯৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার এ এন এম রফিকুল ইসলাম ৪ হাজার ৯১৫ ভোট পেয়েছেন।
নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা নির্বাচিত হয়েছেন। সিরাজুল ইসলাম ৫৯ হাজার ২৯২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার ফজলে রাব্বি খান পেয়েছেন ৪৩ হাজার ২৩২ ভোট।
নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাজিউদ্দিন আহমেদ। রাজিউদ্দিন ১ লাখ ১১ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৭ ভোট পেয়েছেন।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পাটির শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৮৯ ভোট।
গাইবান্ধা-২ (সদর ) আসনে ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পাটির আবদুর রশিদ সরকার পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩৭ ভোট।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের উম্মে কুলসুম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মফিজুল হক পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ ভোট।
গাইবান্ধা-৪ ( গোবিন্দগঞ্জ ) আসনে ২ লাখ ১ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচন হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৫০ ভোট।
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৫২৬ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর- সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের তানভীর শাকিল জয় দুই লাখ ৭৮ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৯ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-২ (সিরাজগঞ্জ সদর-কামারখন্দ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জান্নাত আরা হেনরী এক লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮০ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল আজিজ এক লাখ ১৭ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭০৮ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ২ লাখ ২০ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের হিল্টন প্রামানিক পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে নৌকার প্রার্থী আবদুল মমিন মন্ডল ৭৭ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৩ হাজার ১৮৩ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চয়ন ইসলাম এক লাখ ২৮ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৭৬ ভোট।